এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

মমতা মুখ্যমন্ত্রী হলেও আজও চাকরি ফেরত পাননি সিরাজুল

নিজস্ব প্রতিনিধি: দুই দশক কবেই পার হয়ে গিয়েছে। সামনের বছর আরও এক দশক পূরড়ণ হয়ে যাবে। চাকরি যে তিনি আর ফেরত পাবেন না সেটাও জেনে গিয়েছেন, বুঝে গিয়েছেন। জীবনটাও কার্যত শেষ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু যার জন্য সর্বস্ব খুইয়েছেন তাঁকে তিনি আজও অন্তর থেকেই শ্রদ্ধা করেন। তবুও প্রশ্ন করতে ইচ্ছা হয় তাঁরও মাঝে মধ্যে, ‘সত্যিই কী আমাদের এই ত্যাগের কোনও দাম নেই। চাকরি নয় নাই ফেরত পেলাম, একুশের মঞ্চেও কী কোনওদিন ডাক পাব না।’ আক্ষেপ ঝরে পড়ে সিরাজুল হক মণ্ডলের(Sirajul Haq Mondol) গলা থেকে। এই সিরাজুলই বন্দুক তাক করেছিলেন কলকাতা পুলিশের(Kolkata Police) ডেপুটি পুলিশ কমিশনার দীনেশ বাজপেয়ীর(Dinesh Bajpayee) দিকে। আর তাও যাকে তাকে বাঁচানোর জন্য নয়, বাংলার অগ্নিকন্যা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে(Mamata Banerjee) বাঁচানোর জন্য। সেই অপরাধে তাঁর চাকরি চলে যায়। বামেরা আজ আর ক্ষমতায় নেই, মমতাও মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন এক দশক পার হয়ে গিয়েছে। খালি সিরাজুল তাঁর হারানো চাকরি আর ফেরত পাননি। মাকে নিয়ে তাঁর দিন কাটে বাঁশের বেড়া দেওয়া ঘর আর টিনের চালের নীচে দিনমুজুরি করে। 

১৯৯৩ সালের ২১শে জুলাই(21 July) স্বচিত্র পরিচয়পত্র সহ একাধিক দাবিতে মহাকরণ অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন তৎকালীন যুব কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিযানে শামিল হয়েছিলেন কয়েক হাজার যুব কংগ্রেস কর্মী। পাল্টা ছিল কড় পুলিশি ব্যবস্থা। সেদিন সিরাজুলের ডিউটি পড়েছিল ব্র্যাবোর্ন রোডে। বেলা যত বাড়ছিল, ভিড় ততই বাড়ছিল। একটা সময় মিছিল আটকে দেয় পুলিস। কিছুক্ষণ পর বিশাল মিছিল নিয়ে সেখানে পৌঁছন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে ছিলেন সৌগত রায় সহ একাধিক কংগ্রেস নেতা। সেদিন কলকাতা পুলিশের ডেপুটি পুলিস কমিশনার দীনেশ বাজপেয়ীর নির্দেশে কংগ্রেস কর্মীদের ওপর ব্যাপক হারে লাঠিচার্জ করে। তাতেই আহত হন মমতা সহ বেশ কিছু কংগ্রেস কর্মী। অভিযোগ, মমতার দিকে তেড়ে এসে তাঁকে গুলি করতে গিয়েছিলেন দীনেশ বাজপেয়ী। সেই সময় তাঁকে রুখে দিয়েছিলেন এই সিরাজুল। ডেপুটি পুলিস কমিশনারের দিকে বন্দুক তাক করে বলেছিলেন, ‘স্যার এই অত্যাচার থামান। নাহলে আমি গুলি চালাতে বাধ্য হব।’ এরপর সেখান থেকে চলে যেতে বাধ্য হন দীনেশ বাজপেয়ী।

কিন্তু সেই ঘটনার জেরেই চাকরি যায় সিরাজুলের। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশকে শুধু অমান্য নয়, পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেওয়ায় কলকাতা পুলিশের কনস্টেবল পদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়। সেই চাকরি ফিরে পেতে আইনি লড়াইও শুরু করেছিলেন তিনি। কিন্তু সেই মামলা টেনে নিয়ে যাওয়ার মতো আর্থিক সামর্থ্য ছিল না সিরাজুলের। তাই চাকরিও আর ফেরত পাননি। ২০১১ সালে বাম অপশাসনের অবসান ঘটিয়ে বাংলার ক্ষমতায় আসেন মমতা। সেই সময় সিরাজুল ভেবেছিলেন এবার হয়তো তাঁর কষ্টের দিন শেষ হবে। মমতা তাঁর চাকরি ফিরিয়ে দেবেন। কিন্তু সে সব ভাবতে ভাবতেও এক দশক পার হয়ে গিয়েছে। সিরাজুলের এখন দিন কাটে আধ পেটা খেয়ে দিনমজুরি করে। থাকেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বনগাঁ মহকুমার গাইঘাটার থানার ইছাপুর এলাকার ভদ্রডাঙায়। কোথায় পুলিশের কনস্টেবল, আর কোথায় দিনমজুর। তৃণমূলের কেউও আর এখন তাঁকে চেনে না। তাঁর দিকে চোখ ঘুরিয়ে কেউ তাকিয়েও দেখে না।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

সোমবার সন্ধ্যায় কালবৈশাখীর দাপটে মৃত্যু হল ৫ জনের, জয়নগর স্টেশনে উড়ে গেল টিনের সেড

সোমবার সন্ধ্যায় ঝমঝমিয়ে প্রথম কাল বৈশাখীর বৃষ্টি কলকাতা শহরে

মালদা ও মুর্শিদাবাদের নির্বাচনে বুথগুলিকে ঘিরে কড়া নজরদারি কমিশনের

গাছে জল দিতে গিয়ে ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যু বৃদ্ধার, বাগুইহাটিতে মর্মান্তিক ঘটনা

বঙ্গে ধেয়ে আসছে দুর্যোগ, পুরুলিয়াতে শিলা বৃষ্টি শুরু

সুপ্রিম কোর্টে হল না চাকরিহারাদের মামলার শুনানি, সম্ভাবনা আগামিকাল

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর