নিজস্ব প্রতিনিধি: আবারও কী একটা বড় ষড়যন্ত্র? আবারও একুশে জুলাইয়ের(21 July) সমাবেশের প্রাক্কালে আরও একটা দুর্ঘটনা বাংলার বুকে। ২০১০ সালে একুশের জুলাইয়ের সমাবেশের আগেই বীরভূম জেলার সাঁইথিয়া স্টেশনে ঘটে গিয়েছিল ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা। সেই দুর্ঘটনা কেন ঘটেছিল তা আজও এক রহস্য। এবার আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যেই যখন আরও একটা ২১শে জুলাইয়ের সমাবেশ ঘটতে চলেছে ঠিক তখনই বাংলার বুকে ফিরে এল বিষ মদের ছোবল। হাওড়া(Howrah) শহরের মালিপাঁচঘড়া(Malipanchghora) থানার ঘুসুড়ি(Ghusuri) এলাকার ধর্মতলায় বিষ মদ(Poison Wine) খেয়ে মারা গেলেন ৬জন। একই সঙ্গে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন আরও অনেকেই। মৃত্যুর সংখ্যা বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে।
জানা গিয়েছে, ঘুসুড়ি ধর্মতলা এলাকায় প্রতিদিন সন্ধ্যায় রেল লাইনের ধারে বসে চোলাই মদের আসর। ওই এলাকায় রয়েছে অসংখ্য ছোট ছোট কারখানা। ওই সব কারখানার শ্রমিকেরাই ওই এলেকায় থাকেন। ধর্মতলা এলাকায় রেল লাইনের ধারে যে চোলাই মদের আসর বসে তাতে যোগ দেওয়া প্রায় সকলেই ওই এলাকার বাসিন্দা যারা ওই সব ছোট ছোট কারখানায় কাজ করেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যাতেও এই মদের আসর বসেছিল। সেখানে মদ খেয়েই অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন বহু মানুষ। রাতের মধ্যেই তাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই মারা যান ৬জন। আরও বেশ কিছু মানুষ গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে রয়েছেন। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, এদের মধ্যে অনেকেরই অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাই মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে পারে বলেই তাঁরা মনে করছেন। হাসপাতালে ভর্তি ২০জনের মধ্যে ১৪জনের অবস্থাই আশঙ্কাজনক।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি ঘুসুড়ির ধর্মতলা এলাকায় রেললাইনের ধারে ওই চোলাই মদের ঠেক চালায় প্রতাপ কর্মকার নামে এক ব্যক্তি। ট্রেনে করে সে চোলাই মদ নিয়ে এসে তা বিক্রি করত ওই ঠেক থেকে। গতকালের ঘটনার পর থেকেই সে গা ঢাকা দিয়েছে। এদিন সকালে এলাকার বাসিন্দারা সেই ঠেকে ভাঙচুর চালায়। ক্ষুব্ধ মানুষের অভিযোগ, যে মদ খেয়ে এতজন মানুষের মৃত্যু হল তা আদতে জালি মদ। আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে, কেন একুশে জুলাইয়ের প্রাক্কালেই ওই মদের ঠেকে জালি মদ চলে গিয়েছিল? তাহলে কী একুশের প্রাক্কালে রাজ্যের শাসক দলকে প্রশ্নের মুখে ও অস্বস্তিতে ফেলে দিতে রীতিমত ষড়যন্ত্র করে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে? যদি সেটাই হয়ে থাকে তাহলে এই ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রের পিছনে কারা রয়েছে? পুলিশ অবশ্য ঘটনার তদন্ত শুরু করে দিয়েছে। যদিও স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুলিশের মদতেই এই চোলাই মদের ঠেক চালাচ্ছিল প্রতাপ নামে ওই ব্যক্তি। পুলিশ সেই ব্যবসা থেকে বখরাও পেত বলে তাঁদের অভিযোগ।