নিজস্ব প্রতিনিধি: তিনি নিজে ট্যুইট(Tweet) করেছিলেন যে তদন্তে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করবেন। সেই সঙ্গে প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছিলেন, ‘ক্ষমতা থাকলে CBI আমাকে অ্যারেস্ট করে দেখাক’। এই আবহে এদিন অর্থাৎ শনি সকালে কলকাতার(Kolkata) নিজাম প্যালেসে(Nijam Palace) কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা CBI’র কার্যালয়ে হাজিরা দিতে আসছেন তৃণমূলের(TMC) সর্বভারতীয় সাধারন সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়(Abhishek Banerjee)। নিয়োগ দুর্নীতির ঘটনায় তাঁকে এখানে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে হবে। আর এই জিজ্ঞাসাবাদ ঘিরেই আশঙ্কা ছড়িয়েছে জোড়াফুলের অন্দরে। যদিও এর আগে কয়লা পাচার মামলায় অভিষেককে দিল্লিতে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল আরেক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ED। কিন্তু সেই জিজ্ঞাসাবাদের পালা পেরিয়ে হাসিমুখেই বেড়িয়ে এসেছিলেন তৃণমূলের এই তরুণ তুর্কী নেতা। তাই অনেকেই আশাবাদী এবারেও হাসিমুখেই বেড়িয়ে আসবেন তিনি।
আরও পড়ুন ২০০০ টাকার নোট বাতিল, ঘাবড়ানোর কিছু নেই, আশ্বস্ত করল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক
আশঙ্কা কোথায়? তৃণমূলের নেতাদের একাংশের অনুমান অভিষেক তদন্তে যতই সহযোগিতা করুন না কেন শুধুমাত্র ব্যক্তিগত চরিত্রকে কালিমালিপ্ত করার জন্য এবং রাজনৈতিক ভাবে তৃণমূল তথা অভিষেককে ধাক্কা দেওয়ার জন্য ইচ্ছাকৃত ভাবে তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলে তাঁকে গ্রেফতার করতে পারেন CBI আধিকারিকেরা। এমনকি সেক্ষেত্রে তাঁকে রাজ্যে না রেখে দিল্লিতে নিয়েও চলে যেতে পারে। এদিন বেলা ১১টার সময় নিজাম প্যালেসে অভিষেকের হাজিরা দেওয়ার কথা। তাঁর সেই হাজিরার কথা মাথায় রেখে গোটা নিজাম প্যালেস এলাকা কড়া নিরাপত্তা বলয়ে মুড়ে ফেলা হয়েছে। আছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর পাশাপাশি কলকাতা পুলিশও। যদি এদিন অভিষেক গ্রেফতার হন আর সেক্ষেত্রে যাতে নিজাম প্যালেসে কোনও জনরোষ আছড়ে পড়তে না পারে তার জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এমনকি সূত্রে জানা গিয়েছে প্রয়োজনে আজ রাতেই যাকে অভিষেককে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া যায় তার জন্যও নাকি প্রস্তুতি সেরে রেখেছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। অর্থাৎ ষড়যন্ত্রের সব জাল বিছিয়ে রাখা হয়েছে। আর সবটাই হয়েছে গেরুয়া ব্রিগেডের অঙ্গুলিহেলনে।