সুব্রত রায়: আগামিকাল মঙ্গলবার বিজেপির (BJP) প্রস্তাবিত নবান্ন অভিযানে অশান্তি রুখতে সর্বশক্তি দিয়ে নামছে কলকাতা পুলিশ। শহরের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করতে মাঠে নামবে মোট দুই হাজার পুলিশকর্মী। দায়িত্বে থাকবেন কলকাতা পুলিশের স্পেশাল কমিশনার দময়ন্তী সেন (Damayanti Sen)।
পাশাপাশি শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে আইন-শৃঙ্খলার ওপর নজরদারি চালাবেন অতিরিক্ত দুইজন পুলিশ কমিশনার। ধর্মতলা-লালবাজার-সহ হাওড়া ব্রিজ, কলেজস্ট্রিট, মহাত্মাগান্ধি রোড ও সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউতে দায়িত্বে থাকবেন মোট ১৮ জন ডেপুটি কমিশনার, ৩২জন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার, ৬২জন ইন্সপেক্টর, ১২৪জন সার্জেন্ট। সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ, ধর্মতলা, হাওড়া ব্রিজ, রেডরোড-সহ শহরের বিভিন্ন প্রান্তে মোট পাঁচটি জলকামান প্রস্তুত থাকবে। হাওড়া ব্রিজ ও ধর্মতলায় থাকবে দুটি বজ্র। আবহাওয়ার অবনতি না হলে তিনটি ড্রোনের মাধ্যমে মিছিলের ওপর নজরদারি চালাবে লালবাজার।
মঙ্গলবার শহরের যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে সাড়ে তিনশো ট্রাফিক পুলিশকর্মীকে মধ্য কলকাতার বিভিন্ন পয়েন্ট মোতায়েন করা হবে। ধর্মতলা, বৌবাজার, মহাত্মাগান্ধি রোড এবং লালবাজার সংলগ্ন এলাকায় যানবাহনের গতি পুলিশ প্রয়োজনে নিয়ন্ত্রিত করবে। শহরের মোট আটটি পয়েন্ট থাকবে পুলিশ ব্যারিকেড। কলকাতা থেকে মিছিলকে হাওড়া ব্রিজে ওঠার মুখে আটকে দেবে পুলিশ। প্রতিটি পয়েন্ট থাকছে মাইকেনিং সিস্টেম-সহ পর্যাপ্ত অ্যাম্বুল্যান্স। জল কামানের জলে কালার মেশাবে পুলিশ। ব়্যাফ, সশস্ত্র পুলিশ ফোর্স-সহ সিভিক ভলান্টিয়ারদেরও কাল পথে নামাবে প্রশাসন।
অপরদিকে হাওড়া কমিশনারেট এলাকাতেও প্রায় আড়াই হাজার পুলিশফোর্স নবান্নকে ঘিরে সুরক্ষাবলয় গড়ে তুলবে। সাঁতরাগাছির দিক থেকে যে মিছিল আসবে সেই মিছিল নবান্নের বহুদূর আগেই আটকে দেওয়া হবে। হাওড়ার কালিবাবুর বাজার-সহ ফোরশোর রোড এবং হাওড়া ময়দান এলাকায় থাকবে ব্যারিকেড। বিজেপি কর্মীদের গ্রেফতারের জন্য প্রায় সাড়ে তিনশো বেসরকারি বাস মজুত থাকবে।