এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

মেয়র ও চেয়ারম্যানদের হাত পা বাঁধতে চলেছে নবান্ন

নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্যের ৭টি পুরনিগমের(Municipal Corporation) মেয়র এবং ১২১টি পুরসভার(Municipalities) চেয়ারম্যানদের এবার নগদ টাকা খরচের ক্ষেত্রে হাত-পা বেঁধে দিতে চলেছে নবান্ন(Nabanna) থুড়ি রাজ্য সরকার। কেননা নগদ টাকা খরচের ক্ষেত্রে রাজ্যের প্রায় সমস্ত পুরসভা ও পুরনিগমগুলির বিরুদ্ধে একাধিক অনিয়মের অভিযোগ তুলেছে কেন্দ্রের কম্পট্রোর অ্যান্ড অডিটর জেনারেল বা সিএজি(CAG)। এই বিষয়ে রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের বিভাগীয় প্রধানকে চিঠি পাঠিয়েছে সিএজি। সেখানেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, সরকারি টাকা খরচে বকেয়া হিসেব কড়ায়গণ্ডায় মিলিয়ে প্রয়োজনীয় নথি দ্রুত কেন্দ্র সরকারের কাছে পেশ করতে হবে। আর সেই চিঠির জেরেই এবার রাজ্যের ৭টি পুরনিগমের মেয়র ও ১২১টি পুরসভার চেয়ারম্যানদের কাছ থেকে বকেয়া হিসেব সংক্রান্ত দীর্ঘদিনের সরকারি টাকা খরচের যাবতীয় লেনদেনের হিসাব চেয়ে পাঠিয়েছে নবান্ন। পাশপাশি আগামী মঙ্গলবার নবান্ন এই বিষয়ে একটি জরুরি বৈঠকও ডাকা হয়েছে। সেও বৈঠকে থাকতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee), রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও পুরসচিব।   

নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, সিএজি থেকে চিঠি আসতেই এবার রাজ্যের সব পুরসভা ও পুরনিগমগুলিতে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বিষয়ে কড়া মনোভাব নিতে চলেছে রাজ্য সরকার। পুরনিগমগুলির মেয়ররা ও পুরসভার চেয়ারম্যানরা যাতে আর নিজেদের খেয়াল খুশিমতো নগদ টাকা খরচ করতে না পারেন তার জন্য এবার কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সরকার। উল্লেখ্য, আগেই রাজ্যের পুরসভা ও পুরনিগমগুলিতে ইচ্ছামতো কর্মী নিয়োগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল রাজ্যের অর্থ দফতর। এবার নিয়ম ভেঙে নগদ টাকা খরচের ক্ষেত্রেও মেয়র ও চেয়ারম্যানদের হাত পা বাঁধতে চলেছে নবান্ন। রাজ্যের প্রত্যেকটি পুরনিগম ও পুরসভায় বছরে একবার অডিট করে এজি বেঙ্গল। সেখানেই অবৈধভাবে টাকা খরচ নিয়ে আপত্তি তোলেন হিসাবরক্ষণের এই কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিক। নিয়ম ভেঙে টাকা খরচ ও কর আদায়ে একাধিক অনিয়মের ক্ষেত্রে এজি’র তোলা এই আপত্তিকর রিপোর্টকেই ‘অডিট প্যারা’ বলা হয়। ওই কর্তার দাবি, সমস্ত পুর কর্তৃপক্ষের কাছে এধরনের প্রায় সাড়ে পাঁচহাজারের বেশি অডিট প্যারা রয়েছে।

নিয়ম অনুযায়ী, এজি’র তোলার আপত্তি ‘অন স্পট’ মীমাংসার সুযোগ থাকে। অর্থাৎ সংশ্লিষ্ট পুরসভার আধিকারীররা বেআইনি খরচ সংক্রান্ত বিষয়ে প্রয়োজনীয় নথি দেখাতে পারলে সেটি আর অডিট প্যারা হিসেবে এজি’র খাতায় ওঠে না। কিন্তু অভিযোগ, রাজ্যের ক্ষেত্রে দীর্ঘ কয়েক বছরের এই হাজার হাজার প্যারা অমীমাংসিত রয়ে গিয়েছে। তার সুষ্ঠু সমাধানের লক্ষ্যেই মঙ্গলবারের বৈঠক ডাকা হয়েছে। সেখানে উপযুক্ত সমাধান সূত্র না বেরলে অডিট প্যারাগুলি ‘লিস্টেড’ হয়ে যাবে। পরবর্তীকালে তা সিএজি প্যারা হয়ে রাজ্য সরকারের বড় অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়াবে। এই নিয়ম ভাঙা টাকার হিসেব পেতে নবান্নের শীর্ষ কর্তাদের জবাব তলব করবে সিএজি। বিষয়টি শেষমেশ সংসদেও পৌঁছে যাবে। সেক্ষেত্রে রাজ্যের পুরসভা ও পুরনিগমগুলি কেন্দ্রের নানা প্রকল্প থেকে তো বঞ্চিত হবেই, সেই সঙ্গে আর্থিক সাহায্যও আর পাবে না। আটকে যাবে বিদেশ থেকে ঋণ নেওয়ার সুযোগও। নবান্ন শূত্রে জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দিয়েছেন আগে যা হয়ে গিয়েছে তার হিসাব দেওয়া হোক। কিন্তু নতুন করে পুরসভার চেয়ারম্যানরা ও পুরনিগমের মেয়ররা যেন নগদ টাকা নিজেদের ইচ্ছা মতো খরচ না করেন।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

শুক্রবার রাতে নির্বাচনী জনসভায় যোগ দিতে কলকাতায় এলেন নরেন্দ্র মোদি

রাজভবনের পিস রুম মহিলাদের পিস হেভেনে পরিণত হয়েছে, কটাক্ষ চন্দ্রিমার

রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ রাজভবনের মহিলা কর্মীর

রবিবার থেকে জেলায় জেলায় শুরু হবে বৃষ্টি, সোমবার ভিজতে পারে কলকাতা

তৃণমূলের তারকা প্রচারের তালিকা থেকে বাদ পড়লেন কুণাল

প্রথম চেষ্টাতেই মাধ্যমিক পাশ করে চমকে দিলেন ফুটপাতের প্রিয়া

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর