নিজস্ব প্রতিনিধি: কোভিডের কারনে প্রায় দুই বছর ধরে বন্ধ রাজ্যের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বিশেষ করে প্রথম শ্রেনী থেকে অষ্টম শ্রেনী পর্যন্ত সব ক্লাসের পড়ুয়াদের স্কুল আসা এখনও চালু হয়নি এই রাজ্যে। ১৫ থেকে ১৮ বছরের পড়ুয়াদের ভ্যাক্সিন দেওয়ার কাজ শুরু হলেও অনেক অভিভাবক থেকে পড়ুয়াই তা নিতে চাইছে না। আর তাই নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেনী পর্যন্ত পড়ুয়াদের ক্লাসও যে খুব ভালো ভাবে হচ্ছে তাও নয়। এই অবস্থায় রাজ্যের নানান মহলে দাবি উঠেছে, যেহেতু এখন বাংলায় কোভিড পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে তাই দ্রুত খুলে দেওয়া হোক সব স্কুল। চালু হোক স্বাভাবিক পঠনপাঠন। নাহলে পড়ুয়াদের অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যাবে। যদিও ইতিমধ্যে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন, রাজ্য সরকারও দ্রুত স্কুল খুলতে ইচ্ছুক। এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। তারপরেও রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী স্কুল খোলা নিয়ে রাজ্য বিধানসভায় আলোচনা চেয়েছিলেন। কিন্তু সেই আর্জিতে এবার জল ঢেলে দিল খোদ শিক্ষাদফতরই।
সোমবার রাজ্য শিক্ষা দফতরের পক্ষ থেকে এই মর্মে চিঠি পাঠানো হয়েছে শুভেন্দু অধিকারীকে। রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতর থেকে এদিন চিঠি পাঠানো হয়েছে শুভেন্দুর আপ্তসহায়ককে। সেখানেই বলা হয়েছে, স্কুল খোলা নিয়ে যেহেতু কলকাতা হাইকোর্টে একাধিক মামলা চলছে এবং পুরো বিষয়টি যেহেতু আদালতের বিবেচনাধীন তাই এই বিষয়টি নিয়ে রাজ্য বিধানসভায় কোনও আলোচনা করা যাবে না। যদিও এদিন কলকাতা ও বারাসতে বামপন্থী ছাত্র সংগঠন থেকে শুরু করে গেরুয়া শিবিরের ছাত্র সংগঠন একাধিক আন্দোলন শুরু করে। তার জেরে প্রশাসনিক স্তরেও শোরগোল পড়ে। যদিও দ্রুত পুলিশের হস্তক্ষেপে সেই সব আন্দোলনকে আর বেশিদূর টেনে নিয়ে যেতে দেওয়া হয়নি। তবে শুভেন্দুকে বার্তা দিয়ে রাজ্য সরকার এইটুকু বুঝিয়ে দিল তাঁরা স্কুল খোলার মতো স্পর্শকাতর বিষয়টি নিয়ে কোনওরকম রাজনীতি চাইছে না। বিষয়টিতে রাজনীতির কোনও রঙ লাগুক তাও রাজ্য সরকার চাইছে না।