নিজস্ব প্রতিনিধি: আবারও নতুন আতঙ্ক দেশ- বিদেশে। সতর্ক থাকছে রাজ্য (WB)। শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী ১২ দেশে ৮০ জন এই রোগে আক্রান্ত। এই রোগ নিয়ে প্রতিটি দেশকেই সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। রাজ্য বাড়তি সতর্কতা নিয়েছে। এবাদে কেন্দ্রের নির্দেশিকা মানছে রাজ্য।
গত ২১ দিনে মাঙ্কি পক্স দেখা গিয়েছে এমন দেশ থেকে কেউ বঙ্গে প্রবেশ করলে নেওয়া হচ্ছে সতর্কতা। দেখা হবে ওই ব্যক্তির মধ্যে এই রোগের উপসর্গ আছে কি না, খতিয়ে দেখা হবে রাজ্যে প্রবেশ করে কার কার সংস্পর্শে এসেছেন ওই ব্যক্তি। উপসর্গে থাকলে তাঁকে রাখা হবে নিভৃতবাসে। করা হবে যথাযথ চিকিৎসা। আইসোলেশনে থাকার ঠিকানা, রাজ্যের রাজধানী (KOLATA) বেলেঘাটা আইডি (BELEGHATA ID)।
রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, দেশে এখনও মেলেনি এই রোগের চিহ্ন। রাজ্যে নেওয়া হয়েছে বাড়তি সতর্কতা। রাজ্যে এই রোগ দেখা গেলে তার মোকাবিলা করা হবে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে। কারও মধ্যে উপসর্গ দেখা গেলেই, তাঁর রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে পুণের এনআইভি-তে।
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল অ্যান্ড রিসার্চের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই রোগের প্রাথমিক উপসর্গ জ্বর- মাথা ব্যথা- গায়ে ব্যথা। তাই বিদেশ বা ভিন রাজ্য থেকে দেশে ফিরলে এই সব উপসর্গ দেখা দিলে বলা হয়েছিল আইসোলেশনে থাকতে। তবে এই রোগ কোভিড ১৯- এর মত ছোঁয়াচে নয়।
জানা গিয়েছে, জল বসন্তের মতোই কিছুটা এই মাঙ্কি পক্স। তার প্রকোপে ফুলে যায় শরীরের লাসিকা গ্রন্থি। আর এই গ্রন্থিতেই থাকে আন্টিবডি, শ্বেত রক্তকণিকা। এই ভাইরাস দেহে প্রবেশ করলে তারা বাধা দেয়, ফলে স্ফীত হয় গ্রন্থি।
প্রাথমিক পর্যায় মাঙ্কি পক্সের (MONKEY POX) উপসর্গ দেখে মনে হয় তা চিকেন পক্স বা হাম। তাই চিহ্ণিত করতে দেরি হয়ে যায়। উল্লেখ্য, এই ভাইরাসের বাহক কাঠবেড়ালি। অন্যান্য ভাইরাসের মতোই ভৌগলিক ক্ষেত্রে তার চরিত্র বদল হয়। প্রসঙ্গত, ১৯৫৮ সালে বাঁদরদের মধ্যে প্রথম এই রোগ দেখা গিয়েছিল। এই ভাইরাস নতুন নয় অবশ্য। তবে নতুন করে আবার বসিয়েছে থাবা। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল অ্যান্ড রিসার্চের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আক্রান্ত ব্যক্তির মুখের ১- ২ ইঞ্চির কাছে না এলে সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা নেই। আপাতত, ভাইরাস প্রকোপ এড়াতেই জ্বর, মাথা যন্ত্রণা বা পিঠে- গায়ে ব্যথা হলে আইসোলেশনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, হাম বা পক্সের মতো উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের দ্বারস্থ হতে। উল্লেখ্য, এই রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি এখনও পর্যন্ত।