এই মুহূর্তে




‘আরও আগুন জ্বালা…’, কসবার ‘পুলিশি লাথি’ প্রসঙ্গে মুখ খুললেন সুবোধ সরকার




নিজস্ব প্রতিনিধি: ন্যায় বিচারের দাবি তুলে রাস্তায় রাস্তায় চাকরিহারারা। কসবা অঞ্চলের চাকরিহারাদের বিক্ষোভ, পুলিশের বেপরোয়া লাঠিচার্জ, ধস্তাধস্তি নিয়ে বুধবার থেকেই উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। নেটিজেনরা যে যেরকম ভাবে সম্ভব এই বিষয় প্রতিবাদ জানিয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে ‘পুলিশি অত্যাচারের’ দৃশ্য।

এবার সেই প্রতিবাদের প্রসঙ্গে বললেন কবি সুবোধ সরকার। তবে কলমে কলমে ছড়িয়েছেন তাঁর বার্তা। তিনি কবিতার মাধ্যমে লিখেছেন। কবিতার নাম-

‘লাথি’!

“বেরিয়ে আয়, কসবা নিয়ে কবিতা লেখ শালা, ভদ্রলোক হলে।” লিখব, তার আগে তাহলে যাদবপুর হোক।

যাদবপুরে হয়নি জ্বালা, কসবাতেই জ্বালা।

যাদবপুর ভিয়েতনাম ও ফেসবুক সেন্ট হেলেনা সেখানে অতি রব উঠেছে “কসবা নিয়ে কবিতা লেখ শালা”।

যাদবপুরে কোমরে মারা লাথিটা তবে লাত্থি নয়? কি করে তবে কসবাতেই সেই লাথিটা লাত্থি হয়?

কর্মসূচি ঠিক হয়েছে “আরও আগুন জ্বালা।”

লেখক সুবোধ সরকার তাঁর কলমের মাধ্যমে মনে করিয়ে দিলেন সেই যাদবপুরে অধ্যাপককে লাথি মারার ঘটনাটি। প্রশ্ন তুললেন, যাদবপুরের লাথি নিয়ে যখন প্রশ্ন উঠল না, তাহলে কসবার ঘটনায় কেন এত প্রশ্ন উঠছে? কবি বলেন, “যাদবপুরের লাথি একজন মাস্টারমশাইয়ের। অধ্যাপক, প্রবীণ অধ্যাপক, প্রাক্তন উপাচার্য, তাঁকে ওরা পিছন থেকে গিয়ে লাথি মারল। সেটার ভিডিও এখনও পাওয়া যায়। তাহলে সে সময়ে কোনও প্রতিবাদ হল না কেন? সে সময়ে প্রতিবাদটা করে একটা কবিতা লিখতে পারতো তো কেউ। যাঁরা আজ ফেসবুকে কবিতা লিখছে… লজ্জা লজ্জা বলছে!”

কসবার ঘটনা প্রসঙ্গে সুবোধ সরকার বলেছেন, আগে পুলিশকে উত্ত্যক্ত করা হয়েছে। তাহলে পুলিশের কী করা উচিৎ? সে প্রসঙ্গে বাম আমলের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ‘জ্যোতিবাবুর’ উক্তিও উল্লেখ করেন তিনি। সুবোধ বলেন, “কসবা নিয়ে আমার কাছে যা খবর, আন্দোলন হতেই পারে। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়েছে, পুলিশকে মেরেছে, পুলিশের কলার টেনে মেরেছে, পাঁচিল টপকেছে, ভেঙেছে… এসব ভিডিয়ো পাওয়া যাচ্ছে। তবে লাথিটা আমার ভাল লাগেনি। তবে পুলিশকে এভাবে যদি মারে, তাহলে জ্যোতিবাবুর কথাই বলা হচ্ছে, পুলিশ কি রসগোল্লা খাওয়াবে?”

বুধবার চাকরিহারাদের প্রতিবাদের স্বার্থকতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন কবি। তিনি বলেন, “যে কোনও সময়ে আন্দোলন হতে পারে, কিন্তু এখন কেন? মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী নেতাজি ইন্ডোরে স্পষ্ট বলে দিলেন, আমার জীবন থাকতে, তোমাদের চাকরি যাবে না। আমি তাঁকে কেবল এই কারণেই মানবিক মুখ্যমন্ত্রী বলিনি। আপনারা দেখান, ভারতবর্ষের কোন মুখ্যমন্ত্রী গরিবের জন্য খেটে যাওয়া, বিপন্ন মানুষের জন্য কন্যাশ্রী থেকে লক্ষ্মীর ভান্ডার- ৯৭টা প্রকল্প গরিবের জন্য করেছেন, অর্থ অনটনের মধ্যে থেকেও।”

সামাজিক মাধ্যমে যারা কসবার ঘটনার প্রতিবাদ করেছেন তাঁদের উদ্দেশে কবির বার্তা, “আমি বলব যাদবপুরের লাথিটা নিয়েও প্রতিবাদ করতে। একজন মাস্টারমশাইকে পিছন থেকে যখন লাথি মারে, তখন ফেসবুকে বিবেক কোথায় থাকে? যদি মুখে কথা বলে হয়, ডায়লগের বদলে হাতাহাতি আমি মানতে পারি না। আগে যাদবপুর নিয়ে কবিতা লিখুন, তারপর কসবা নিয়ে লিখবেন। একসময় বিবেক বন্ধক দেবেন, আরেকসময়ে উল্লাস করবেন, সেটা চলতে পারে না।”

‘লাথি’ কবিতার শেষ পংক্তি ‘আরও আগুন জ্বালা….’। এই অর্থের সারমর্ম বোঝাতে কবির বক্তব্য, এই আন্দোলনের পিছনে প্রোভোকেশন রয়েছে। কবির কথায়, ‘আরও আগুন জ্বালা… কসবার ঘটনা তারই একটা কর্মসূচি। কিন্তু সেই কর্মসূচি করে লাভ হবে না। মানুষ মুখ্যমন্ত্রীর পাশে রয়েছে।” সুবোধ সরকারের স্পষ্ট বক্তব্য, “ছাব্বিশে দিদিই আসছেন…”




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

রাজ্যে উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফল ৭ মে, দেড় মাসের মাথায় রেজাল্ট আউট

বিষাদের ছায়া বাগান শিবিরে, চিঠি লিখে ইস্তফা সভাপতি টুটু বসুর, কেন?

ঘরে জগন্নাথ রেখে দিঘায় যাবেন কলকাতার হেরিটেজ মন্দিরের সেবাইত পরিবার

মুখ্যমন্ত্রীর এলাকাতেই ‘অযোগ্য’দের বিক্ষোভ, পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি চাকরিহারাদের

প্রাথমিকের ৩২ হাজার চাকরি বাতিল মামলার শুনানি পিছিয়ে গেল

সপ্তাহের শুরুতেই মেট্রো বিভ্রাটে নাজেহাল অফিসযাত্রীরা, কেন ?

Advertisement




এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর