নিজস্ব প্রতিনিধি: ব্যারাকপুরে বিরিয়ানির দোকানে গুলি চালানোর ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য। গুলিকাণ্ডের পেছনের মাথা বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লা খুনের শ্যুটার সুজিত রায়। জেলে বসে বিরিয়ানি দোকানে গুলি চালানোর ছক কষেছিল সে। ইতিমধ্যে জেলবন্দী সুজিতকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁকে বর্তমানে পুলিশ নিজেদের হেফাজতে রেখেছে।
বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লাকে গুলি করে খুনের ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত সুজিত রায়। সেই ঘটনায় ইতিমধ্যে জেল হেফাজতে ছিল সে। আর জেলে বসেই ব্যরাকপুরে বিরিয়ানি দোকানে গুলি চালানোর ছক কষে সুজিত। ঘটনার তদন্তে নামার পর পুলিশ এমনটাই জানতে পেরেছে। জেল থেকেই ভার্চুয়াল নম্বর থেকে ফোন করে বিরিয়ানি দোকানের মালিককে হুমকি দিত জেলবন্দী সুজিত। ব্যারাকপুরে বিরিয়ানি দোকানে গুলি চালানোর ঘটনায় এই নিয়ে ধৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৩।
ব্যারাকপুরে বিরিয়ানি দোকানে শ্যুট আউটের ঘটনায় সোমবার তদন্তকারী আধিকারিকরা জেলবন্দী সুজিত রায়কে দমদম কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার থেকে গ্রেফতার করে। মঙ্গলবার তাকে ব্যারাকপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়। এর পর পুলিশ নিজেদের হেফাজতে নেয় সুজিত রায়কে। জেলে বসেই সুজিত রায় বিরিয়ানি দোকানের মালিককে বন্দুকের ভিডিও এবং হুমকি মেসেজ পাঠাতো। তদন্তকারীদের প্রাথমিক অনুমান বিরিয়ানি দোকানের মালিকের কাছে টাকা দাবি করার পর টাকা না দেওয়ায়, এই কাণ্ড ঘটিয়েছে অভিযুক্ত।
উল্লেখ্য, ১৬ মে ভরদুপুরে ব্যারাকপুর বারাসত রোডের মোহনপুরে একটি বিরিয়ানির দোকানে গুলি চালানোর ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর জখম হন দুই ব্যক্তি। গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর আহতদের তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার বারাকপুরের একটি বিরিয়ানির দোকানে আচমকা গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। অভিযুক্তরা বাইকে চেপে এসেছিল বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। দুষ্কৃতীরা বাইকে চেপে এসে আচমকা ওই বিরিয়ানির দোকান লক্ষ্য করে গুলি চালায়। গুলি চালানোর ঘটনায় আহত হয়েছেন ওই বিরিয়ানি দোকানের এক কর্মী এবং একজন ক্রেতা। কিছু বুঝে ওঠার আগে দুষ্কৃতীরা ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা জানান এদিন মোট পাঁচ রাউণ্ড গুলি চলে। এর পর ঘটনার তদন্তে নেমে ওই দোকানের আশেপাশের দোকানের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ। এই ঘটনার তদন্তে নেমে আগেই ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের আধিকারিকরা দুই জনকে গ্রেফতার করেছে। এবার মূল চক্রী সুজিত রায়কে জেল থেকে গ্রেফতার করল পুলিশ।