নিজস্ব প্রতিনিধি: সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী ৯ নভেম্বর, আলিপুর জেল মিউজিয়ামে(Alipore Jail Museum) আয়োজিত হতে চলেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) বিজয়া সম্মিলনী। সূত্রের খবর, ওই অনুষ্ঠানে হাজির থাকার জন্য বিরোধী শিবিরের কয়েক জন নেতাকেও আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। আমন্ত্রণ যাচ্ছে রাজ্য বিজেপির(BJP) সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার(Sukanta Majumdar) এবং বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথা মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষের(Dilip Ghosh) কাছে। তবে ওই তালিকায় নেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর(Suvendu Adhikari) নাম। কার্যত সুকান্ত ও দিলীপ মুখ্যমন্ত্রীর কাছে গ্রহণযোগ্য হলেও সেখানে ব্রাত্য থেকে গেলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।
মুখ্যমন্ত্রীর আয়োজিত বিজয়া সম্মিলনীতে প্রতি বারেই প্রধান বিরোধী দলের প্রধানকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। মুখ্যমন্ত্রী সৌজন্য দেখিয়ে বরাবরই সেটা করেন। কিন্তু কোনও বছরই পাল্টা সৌজন্য দেখিয়ে তাঁরা আসেন না। এ বারেও বর্তমান সভাপতি হিসেবে সুকান্ত, প্রাক্তন সভাপতি হিসেবে দিলীপ এবং বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান হিসেবে বিমান বসুকে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। তবে কংগ্রেসের কোনও নেতাকে আমন্ত্রণ জানানো হবে কি না, তা এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট নয়। বিরোধী দলনেতাকে কেন আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে না, তার জবাবে জোড়াফুল শিবিরের দাবি, এটি কোনও পরিষদীয় কর্মসূচি নয়। তা-ই বিরোধী দলনেতাকে আমন্ত্রণ জানানোর অবকাশ নেই। প্রসঙ্গত, প্রতি বার মুখ্যমন্ত্রীর বিজয়া সম্মিলনীতে শিল্পপতি-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের খ্যাতনামীরা থাকেন। তবে শিল্পপতিদের আমন্ত্রণেই বেশি জোর দেওয়া হয়। কারণ, ওই অনুষ্ঠানেই তার অব্যবহিত পরে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের নান্দীমুখ হয়ে যায়। এবারেও পশ্চিমবঙ্গ শিল্পোন্নয়ন নিগমকে আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ জানানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এদিন অর্থাৎ শনিবার থেকে নিগমের প্রতিনিধিরা আমন্ত্রণপত্র পৌঁছনোর কাজ শুরুও করে দিয়েছেন।
তবে রাজনীতির কারবারিরা আমন্ত্রিতদের তালিকায় শুভেন্দুর না-থাকা নিয়ে বিস্মিত নন। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে শুভেন্দু তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের পর থেকে তাঁর সঙ্গে তৃণমূল নেতৃত্বের সম্পর্কের ক্রমাবনতি হয়েছে। গত আড়াই বছরে সেই সম্পর্ক আরও নিম্নগামী হয়েছে। আমন্ত্রণ পেলেও সুকান্ত-দিলীপ যে মুখ্যমন্ত্রীর বিজয়া সম্মিলনীতে যোগদান করতে আসবেন না, সে ব্যাপারেও মোটামুটি নিশ্চিত রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষকর্তারা। তবে শুভেন্দুকে বিজয়া সম্মিলনীতে আমন্ত্রণ না জানানোর পরেও দিলীপ-সুকান্ত সেখানে গেলে তা রাজ্য রাজনীতিতে বড় চমক হয়ে উঠতে পারে।