নিজস্ব প্রতিনিধি: বৈঠক শেষ। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে ৪০ মিনিটের বৈঠক সেরে বেড়িয়েও গিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। কিন্তু তার পরে পরেই জাতীয় রাজনীতিতে বিজেপি ও খোদ দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে(Narendra Modi) তীব্র অস্বস্তিতে ফেলে দিল একটি টুইট(Tweet)। সেই টুইট করেছেন বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী এবং দেশের দুটি রাজ্যের প্রাক্তন রাজ্যপাল তথাগত রায়। নিজের টুইটে তথাগত রায়(Tathagata Roy) সরাসরি আঙুল তুলেছেন এদিনের বৈঠক ঘিরে। অর্থাৎ মোদি-মমতার বৈঠক নিয়েই টুইট করেছেন তিনি। আর সেই টুইটে তিনি প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন কার্যত প্রধানমন্ত্রীর নিরপেক্ষতা নিয়ে, তাঁর বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে। অস্বীকার করার উপায় নেই সেই টুইট এখন বাংলার রাজনীতির পাশাপাশি জাতীয় রাজনীতিরও অন্যতম চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ঘিরে বাংলার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস যে বেশ অস্বস্তিতে এ নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। এই অবস্থাতেই ৪ দিনের সফরে দিল্লি গিয়ে এদিন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৈঠক করে এলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে। এই বৈঠক আগে থেকেই ঠিক করা হয়েছিল। সেই বৈঠক নিয়ে বিরোধিরা বিশেষ করে বামেরা অভিযোগ তুলছিল, ‘সেটিং’ এর উদ্দেশ্য নিয়েই দিল্লি যাত্রা ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক তৃণমূলনেত্রীর। যদিও বিজেপি ও তৃণমূল দুই তরফেই এই অভিযোগ নস্যাৎ করা হয়েছে। কিন্তু এটাও ঘটনা প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে যখন মোদি-মমতা বৈঠকে ব্যস্ত তখনই কলকাতায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে আর নিজেদের হেফাজতে চাইল না ইডি। পরিবর্তে পার্থকে আদালত ১৪ দিনের জন্য জেল হেফাজতে পাঠিয়েছে।
এই ঘটনার পরে পরেই জাতীয় রাজনীতিতে কার্যত ঝড় তুলে দিয়েছে তথাগত রায়ের টুইট। তাতে তিনি লিখেছেন, ‘সেটিং-এর আশঙ্কায় ভুগছে কলকাতা। যার অর্থ মোদীজি এবং মমতার মধ্যে একটি গোপন বোঝাপড়া, যার মাধ্যমে তৃণমূলের চোর এবং বিজেপি কর্মীদের খুনিরা মুক্ত হবে। অনুগ্রহ করে আমাদের বোঝান যে এরকম কোন ‘সেটিং’ থাকবে না @নরেন্দ্রমোদিজি’। যদিও তথাগত এই টুইট করেছেন মোদি-মমতার বৈঠকের অন্তত ৬ ঘন্টা আগে।