নিজস্ব প্রতিনিধি: পর্যাপ্ত পরিকাঠামো না থাকার অভিযোগে কালিপুজোর মুখে একধাক্কায় রাজ্যের ৬২৪টি B.ED College’র মধ্যে ২৫৩টি কলেজের অনুমোদন বাতিল করে দেয় Babasaheb Ambedkar Education University। যদিও অনেক আগেই এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলির তরফে ওই কলেজগুলিকে জানানো হয়েছিল, NCT’র ২০১৪ সালের Regulation মেনে চলতে হবে। সেই Regulation যে কলেজগুলি মেনে চলতে পারবে না, সেগুলিকে অনুমোদন দেওয়া সম্ভব হবে না। যদিও তাতে ছবি বদলায়নি। আর তার জেরেই মধ্যে ২৫৩টি কলেজের অনুমোদন বাতিল হয়েছে। এর জেরে এখন প্রায় ৩০ হাজার পড়ুয়ার ভবিষ্যৎ(Future of 30 Thousand Students) চূড়ান্ত ভাবে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
কেন অনিশ্চয়তা? জানা যাচ্ছে, যে কলেজগুলির অনুমোদন বাতিল হয়েছে তারা আগে থেকেই শর্তসাপেক্ষে পড়ুয়া ভর্তি করে রেখেছে। ওই সব কলেজের আসন সংখ্যা গড়ে ১০০টি করে। সেই কারণে পড়ুয়ার সংখ্যা ৩০ হাজারের কাছাকাছি বলেই দাবি কলেজগুলির কর্তাদের। তাঁদের আরও দাবি, অনলাইনে ভর্তির লিঙ্ক দেওয়ার কয়েকদিনের মধ্যেই ক্লাস শুরু নিয়ম মেনেই তাঁরা ক্লাস শুরু করে দিয়েছেন বা এদিন থেকে তা শুরু হচ্ছে। ফলে এই ২৫৩টি কলেজের ৩০ হাজার পড়ুয়া আগামী দিনে কীভাবে সার্টিফিকেট পাবেন বা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা দেবে সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন হয়ে উঠেছে। কেননা Babasaheb Ambedkar Education University’র তরফে এখনও কোনও বার্তা দেওয়া হয়নি যে, বাতিল হয়ে যাওয়া কলেজের পড়ুয়াদের কী হবে তা নিয়ে। অনুমোদন বাতিল হয়ে যাওয়ায় এই বছর থেকে ওই কলেজগুলি আর পড়ুয়া ভর্তি করতে পারবে না, কিন্তু যারা আগে থেকেই ভর্তি হয়ে গিয়েছে এখন তাঁদের ভবিষ্যৎ কার্যত অন্ধকারে ঢাকা পড়ে গিয়েছে।
যদিও এই ঘটনায় গত শনিবারই রাজ্য সরকারের তরফে যথাযোগ্য তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন রাজ্যের উচ্চশিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু(Bratya Basu)। সেই সময়ে তিনি জানিয়েছিলেন, ২৫৩টি B.ED College’র অনুমোদন বাতিল নিয়ে তদন্ত করতে চলেছে উচ্চশিক্ষা দফতর। কেননা, ছাত্রভর্তির অনুমতি বাতিল নিয়ে Babasaheb Ambedkar Education University রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতরকে চিঠি দিয়েছিল ঠিকই, তবে কতগুলি কলেজে কী কী পরিকাঠামোগত খামতি রয়েছে, তা জানানো হয়নি। অনেক অধ্যাপক বলছেন, বহুদিন ধরেই ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে এগজিকিউটিভ কাউন্সিলের বৈঠক হয়নি। তাহলে কীসের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল? সেটাই এখন খতিয়ে দেখা শুরু হয়েছে।