নিজস্ব প্রতিনিধি: তৃণমূল নেতা ওয়াজিউল হক খানের খুনের ঘটনায় হাওড়া পুলিশ কমিশনারের রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা রিপোর্ট তলব করেন। আগামী ৫ মে হাওড়ার পুলিশ কমিশনারকে এ ব্যাপারে রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি।
হাওড়া সাঁকরাইলের তৃণমূল নেতা ওয়াজিউল হক খান গত বছরের ২২ নভেম্বর খুন হন। গুলি করে তাঁকে খুন করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। সেই খুনের তদন্ত করছে পুলিশ। কিন্তু পুলিশি তদন্তে খুশি নন মৃত তৃণমূল নেতার পরিবারের সদস্যরা। এমনকি পুলিশ ঠিক মতো তদন্ত করছে না বলে অভিযোগ করেছেন তারা। পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনও রকম পদক্ষেপ করছে না বলেও অভিযোগ ওঠে। এর পর আদালতে মামলা করেন মৃত তৃণমূল নেতার পরিবার। ওয়াজিউল হক খানের পরিবারের অভিযোগ, হাওড়ার পুলিশ কমিশনার, রাজ্য পুলিশের আইজি এবং ডিজিকে জানানো সত্ত্বেও কোনও সুরাহা হয়নি। অভিযোগ, তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকরা আবেদনকারীদের বারবার ভয় দেখাচ্ছেন। এ কথা মঙ্গলবার আদালতেও জানান আইনজীবীরা। আদালতে শুনানি চলাকালীন বিচারপতি প্রশ্ন করেন “অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। কিন্তু চার্জশিটে সেই ধারা নেই কেন? কেন প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ান নেওয়া হয়নি?” এই মামলাতেই হাওড়া পুলিশ কমিশনারকে তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। একইসঙ্গে তদন্তকারী অফিসারকে আদালতে কেস ডায়েরিও জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। অভিযোগ, আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের পরেও চার্জশিটে অস্ত্র আইন দেওয়া হয়নি। একইসঙ্গে প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ানও নেওয়া হয়নি। সেই ব্যক্তি নিজে বয়ান দিতে চেয়ে ডিজি এবং সিপির কাছে আবেদন করেছিলেন। কিন্তু তারপরেও তদন্তকারী অফিসার বয়ান নেওয়ার জন্য আবেদন করেনি। এই খুনের ঘটনায় একটি ভিডিও সামনে এসেছিল। তাতে দেখা গিয়েছে খুনের জন্য ৮০ লক্ষ টাকার রফা হয়েছিল। কিন্তু সেই বিষয়েও পুলিশ কোনও তদন্ত করেনি। এইসব অভিযোগ সামনে আসায় এদিন এদিন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা প্রশ্ন করেন, কেন প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ান নেওয়া হয়নি? কেন চার্জশিটে অস্ত্র আইন দেওয়া হয়নি?