নিজস্ব প্রতিনিধি: ৩৪ বছরের বাম অপশাসনকে বাংলার মাটি থেকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে যে নেত্রী আজ ১২ বছর ধরে রাজ্য সামলাচ্ছেন সেই বাংলার অগ্নিকন্যা তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) চেয়েছিলেন ২৪’র ভোটে(General Election 2024) বিজেপিকে(BJP) পরাস্ত করতে বামেরা(Left) জোট করুক তৃণমূলের(TMC) সঙ্গেও। যদিও সেই প্রস্তাব খারিজ করে দিয়েছে আলিমুদ্দিন। কিন্তু অদ্ভূত ভাবে রবি সকালে কলকাতার বুকে বামেদের যুব সংগঠন DYFI’র ব্রিগেড(Left Brigade Conference) শুরুই হল রাজ্য সঙ্গীত(State Anthem) ‘বাংলার মাটি, বাংলার জল’ গানটি দিয়ে যা আবার মমতাই ঠিক করে দিয়েছেন। নিরন্তর অন্ধ মম তা বিরোধিতা চালিয়ে যাওয়া বামেরা কেন এই গান দিয়েই ব্রিগেড শুরু করল তা নিয়েই এখন প্রশ্ন ঘুরছে রাজ্য রাজনীতির পাশাপাশি জাতীয় রাজনীতির আঙ্গিনাতেও। কেন ব্রিগেডে মমতার এহেন উপস্থিতি ঘটল তা প্রশ্ন ব্রিগেডে আসা বহু বাম সমর্থক থেকে কর্মীদেরও। অনেকেই মনে করছেন, পক্ষান্তরে কার্যত প্রচ্ছন্ন বার্তা দেওয়া হল দিদিমণিকে, যে বাংলার মাটিতে বামেরা তাঁর বিরোধিতা করলেও জাতীয় স্তরে বিজেপি বিরোধিতার প্রশ্নে তাঁরা তাঁর পাশেই থাকছেন।
ব্রিগেডের উদ্বোধনী সঙ্গীত হিসাবে যে ‘বাংলার মাটি, বাংলার জল’ গানটি গাওয়া হবে সেটি নাকি অনেক বাম কর্মী তথা সমর্থকও জানতেন না। এমনকি জানতেন না নেতারাও। তাই স্বাভাবিক ভাবেই বাম শিবিরের অন্দরেই এখন প্রশ্ন উঠছে, কেন এই গানটি বাছা হল। যদিও বাম যুব নেতৃত্বের দাবি, মমতা গানটিকে বিকৃত করেছিলেন, ব্রিগেডের মঞ্চে তা অবিকৃত ভাবে গাওয়া হয়েছে। কিন্তু বিতর্ক থামছে না। ১৯০৫ সালে ব্রিটিশের বঙ্গভঙ্গের প্রতিবাদে রবীন্দ্রনাথের বাঁধা গানটির ইতিহাস-মূল্য স্বীকার করেই তাকে রাজ্য সঙ্গীতের স্বীকৃতি দিয়েছিল রাজ্য সরকার। তবে রবীন্দ্রগানে বদল নিয়ে অনেকের আপত্তি দেখে গানটি অবিকৃত রাখার কথাই বলে রাজ্য। বিলও সেই ভাবেই পাশ হয়। তাই মমতা গানকে বিকৃত করেছেন এই অভিযোগও খাটছে না। তাহলে এই গান দিয়ে শুরু করে কী আদতে মমতার হাতকেই শক্ত করে দেওয়া হল, উঠেছে সেই প্রশ্নও। এই গানটি এদিন যখন পরিবেশন করছে চাকদার একটি সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী তখন অনেকেই কার্যত চমকে উঠেছিলেন। যদিও এই গান নির্বাচন যে সুপরিকল্পিত তা স্পষ্ট।