এই মুহূর্তে




ডিভিসির কমিটি থেকে প্রতিনিধি তুলে নিচ্ছে রাজ্য, মোদিকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিলেন মমতা

Courtesy - Facebook and Google




নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্যের(Bengal) বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে(Narendra Modi) আবারও চিঠি দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। দিন দুই আগেই, ২০ সেপ্টেম্বর রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতির(Flood Situation) কথা জানিয়ে এবং Damodar Valley Corporation বা DVC’র ওপর ক্ষোভ উগরে দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছিলেন মমতা। কেন্দ্রীয় জল শক্তি মন্ত্রকের তরফে সেই চিঠির জবাবে কেন্দ্রের জলশক্তি মন্ত্রী সি আর পাতিল দাবি করেছিলেন, রাজ্যের সম্মতি নিয়েই নাকি DVC মাইথন আর পাঞ্চেত থেকে জল ছেড়েছে। সেই দাবিকে এদিন নস্যাৎ করে দিয়ে মমতা সাফ জানিয়েছেন, কেন্দ্রের বক্তব্য সঠিক নয়। অনেক সময়েই রাজ্যের সম্মতি ছাড়াই জল ছাড়া হয়। চিঠিতে মমতা জানিয়েছেন, ‘আপনাদের বক্তব্যের সঙ্গে সহমত হতে পারছি না। কারণ, জল ছাড়ার বিষয়ে সতর্কবার্তা তো দূরে থাক, DVC এক তরফাভাবে সিদ্ধান্ত নেয়। কেন একথা বলছেন!’

আরও পড়ুন, ধান চাষীদের জন্য সুখবর, কুইন্ট্যাল পিছু ১১৭টাকা দাম বাড়াল রাজ্য সরকার

এদিনের চিঠিতে মমতা লিখেছেন, ‘জল শক্তি মন্ত্রকের চিঠির প্রেক্ষিতে আমি এই চিঠি লিখছি। আপনার মন্ত্রী দাবি করেছেন, দামোদর ভ্যালি জলাধার নিয়ন্ত্রণ কমিটি-র মাধ্যমে মাইথন এবং পাঞ্চেত বাঁধ পরিচালিত হয়, যেখানে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রতিনিধিও রয়েছেন। আমি তা মানি না। কেন্দ্রীয় জল কমিশন এবং জল শক্তি মন্ত্রকই এ ক্ষেত্রে সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলি নিয়ে থাকে। কখনও কখনও রাজ্যকে না জানিয়েই জল ছাড়া হয়। রাজ্যের অনুরোধও শোনা হয় না। শুধু তা-ই নয়, এ বার মাত্র সাড়ে ৩ ঘণ্টার নোটিসে DVC জল ছেড়েছে। রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের জন্য ওই সময় পর্যাপ্ত ছিল না।’ মমতা এদিন এটাও জানিয়েছেন যে, ১৬ সেপ্টেম্বর রাতে DVC’র চেয়ারম্যানের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছিল। তিনি জল না ছাড়ার অনুরোধ করেছিলেন। সেই অনুরোধ শোনা হয়নি। রাজ্য সরকার আড়াই লক্ষ কিউসেক জল ছাড়া অনুমোদনই করেনি। রাজ্যের তরফে জলের পরিমাণ কমিয়ে প্রথমে ২.৩ লক্ষ কিউসেক এবং পরে ২ লক্ষ কিউসেক করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু সেই অনুরোধ শোনা হয়নি। DVC উত্তর দিতে দেরিও করেছিল। যার ফলে পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়।  

আরও পড়ুন, পুজোর পরে নভেম্বরের শেষে শুরু হতে পারে ‘দুয়ারে উদ্যম’ শিবির

মমতা এদিন জানিয়েছেন, ‘আমার ব্যক্তিগত ভাবে মনে হয়েছে, আড়াই লক্ষ কিউসেক জল ছাড়ার প্রয়োজন ছিল না। তা না হলে দক্ষিণবঙ্গের বন্যা পরিস্থিতি এত ভয়াবহ আকার ধারণ করত না। তাই আমার মনে হয়, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যে বলেছেন বন্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য সবরকম চেষ্টা করা হয়েছিল, তা পুরোপুরি সঠিক নয়। জলাধার নিয়ন্ত্রণকারীরা ঠিক মতো কাজ করতে পারেননি। তা ছাড়া, মাইথন এবং পাঞ্চেতে সংস্কারের কাজ চলছে বলে আমি শুনেছি। সেগুলিও শেষ হয়নি। আমি DVC-র কমিটি থেকে আমার প্রতিনিধি তুলে নিচ্ছি।’ এদিন নিজের চিঠিতে মমতা রাজ্যের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ নদীগুলিতে উপযুক্ত বন্যা নিয়ন্ত্রণ প্রকল্প প্রয়োগ করা প্রয়োজন বলেও প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছেন। অবিলম্বে সে সব প্রকল্পের পরিকল্পনা এবং বাস্তবায়ন যে প্রয়োজন সেতাও প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে এটাও বলেছেন যে ওই সব প্রকল্পের জন্য সব খরচ রাজ্য সরকারের ওপর চাপিয়ে দেওয়া উচিত নয়। যদিও মমতার দাবিকে কেন্দ্র সরকার কতখানি মান্যতা দেবে তা নিয়ে সংশয় থাকছেই। মমতা তাঁর চিঠিতে জনাইয়েছেন, দক্ষিণবঙ্গে বন্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য বিজ্ঞানভিত্তিক পদ্ধতি প্রয়োজন। কেন্দ্রের বরাদ্দ এ ক্ষেত্রে অপর্যাপ্ত। যা থেকে মনে হয়, বন্যা নিয়ন্ত্রণ আদৌ কেন্দ্রের অগ্রাধিকার পাচ্ছে না।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

‘সমাজের অপূরণীয় ক্ষতি’, রতন টাটার প্রয়াণে শোকবার্তা মমতার

বিশ্ববাংলা শারদ সম্মান পেল কোন কোন পুজো? দেখে নিন তালিকা…

গণ ইস্তফার সস্তা নাটক সিনিয়র চিকি‍ৎসকদের, নিয়ম মেনে কেন ইস্তফা দিচ্ছেন না উঠেছে প্রশ্ন

ফুচকাওয়ালা নিগ্রহকাণ্ডে মুখ খুলল সিংহী পার্ক পুজো কমিটি

ট্যাক্সিতে মিটার বসানো নিয়ে নয়া সুবিধা দিতে উদ্যোগী রাজ্য সরকার

যাত্রী সংখ্যায় নয়া রেকর্ড গড়ার পথে কলকাতা বিমানবন্দর

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর