নিজস্ব প্রতিনিধি: ত্রিপুরার(Tripura) মাটিতে রাজনৈতিক সাফল্য এখনও পায়নি তৃণমূল(TMC)। কিন্তু সেখানে রাজনৈতিক কার্যকলাপ ও বিজেপির বিরুদ্ধে যুদ্ধ পূর্ণদমে চালিয়ে নিয়ে যেতে চাইছে বাংলার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। সেই লক্ষ্যেই শুক্রবার ঘোষিত হল তৃণমূল কংগ্রেসের ত্রিপুরা শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি(State Committee)। লক্ষ্যণীয় ভাবে সেই কমিটির মাথায় বসানো হয়েছে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বিজেপি ঘুরে ফের তৃণমূলে ফেরা নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে(Rajib Banerjee)। দলের রাজ্য সভাপতি করা হয়েছে সুবল ভৌমিককে। তৈরি করা হয়েছে ৬ সদস্যের কোর কমিটিও(Core Committee)। সেখানে সুবল ছাড়াও ঠাঁই পেয়েছেন সুস্মিতা দেব, আশিষ দাস, ভৃগুরাম রিয়াং, আশিষ লাল সিং ও মামোন খান। পাশাপাশি কোর কমিটির সদস্য পদ পাচ্ছেন দলের যুব শাখার রাজ্য সভাপতি, দলের মহিলা শাখার রাজ্য সভানেত্রী, দলের তপশিলী শাখার রাজ্য সভাপতি এবং দলের উপজাতি শাখার রাজ্য সভাপতি।
ত্রিপুরায় দলের সহ সহপতি করা হয়েছে ৮জনকে। এরা হলেন প্রকাশ চন্দ্র দাস, মুহাম্মদ ইদ্রিশ মিয়াঁ, ত্রিদীপ দত্ত, আব্দুল বসিত খান, তাপস খিসা, কৃষ্ণধন নাথ, কল্পমোহন ত্রিপুরা ও পীযুশকান্তি দেব রায়। দলের সাধারন সম্পাদক করা হয়েছে ৫জনকে। এরা হলেন তাপস রায়, নির্মলকান্তি দাস, বাপ্টু চক্রবর্তী, রবি চৌধুরী ও তপন দত্ত। দলের সম্পাদক করা হয়েছে ১৪জনকে। যুগ্ম সম্পাদক করা হয়েছে ৭জনকে। দলের এক্সেকিউটিভ মেম্বার করা হয়েছে ৭২জনকে। যুব তৃণমূলের ত্রিপুরা শাখার সভাপতি করা হয়েছে শান্তনু সাহাকে। সেই সঙ্গে সহ সভাপতি করা হয়েছে ৫জনকে। এরা হলেন নীল কমল সাহা, অনির্বাণ সরকার, দীপান্বিতা চক্রবর্তী, রাকেশ দাস ও উত্তম কলুই। তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের ত্রিপুরার সভানেত্রী করা হয়েছে পান্না দেবকে। সেই সঙ্গে ৬জনকে সহ সভানেত্রী করা হয়েছে। এরা হলেন শম্পা দাস, সংহিতা বন্দ্যোপাধ্যায়, দিপ্তী হালাম, অনিতা দাস, আলপনা দেববর্মা ও অর্চনা কর। দলের তপশিলী সেলের সভাপতি করা হয়েছে সঞ্জয় কুমার দাসকে। সহ সভাপতি হয়েছেন দুলাল সরকারকে। দলের তপশিলী উপজাতি সেলের রাজ্য সভাপতি হয়েছেন মালিন জামাতিয়া। সহ সভাপতি হয়েছেন ২জন। এরা হলেন বিনয় রিয়াং ও ললিত মোহন চাকমা।