এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

রাজ্যসভায় তৃণমূলের ৩ নয়া মুখ, থেকে গেলেন ডেরেক, দোলা, সুখেন্দুশেখর

কৌশিক দে সরকার: নয়া মুখের যে আমদানি হতে চলেছে তার ইঙ্গিত আগেই মিলেছিল। বাস্তবেও সেটাই দেখা গেল। সোম সকালেই তৃণমূলের(TMC) তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে রাজ্যসভার মোট ৭টি আসনের মধ্যে ৬টি আসনে দলের তরফে ঠিক কারা কারা প্রার্থী হতে চলেছেন। দেখা যাচ্ছে পুরাতন মুখ হিসাবে এবারেও প্রার্থী তালিকায় থেকে যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Abhishek Banerjee) বিশেষ আস্থাভাজন হিসাবে পরিচিত ডেরেক ও ব্রায়েন( Derek o Brien), দোলা সেন(Dola Sen) এবং সুখেন্দুশেখর রায়(Sukhendu Sekhar Roy)। বাদ পড়েছেন সুস্মিতা দেব এবং শান্তা ছেত্রী। পরিবর্তে এসেছে ৩ নতুন মুখ। তাঁদের মধ্যে ২জন হলেন সামিরুল ইসলাম(Samirul Islam) ও প্রকাশ চিক বরাইক(Prakash Chik Baraik)। এর পাশাপাশি যে আসনটিতে উপনির্বাচন হচ্ছে সেই আসনে প্রার্থী হিসাবে তুলে ধরা হচ্ছে আরও এক নয়া মুখ সাকেত গোখেলকে(Saket Gokhel)। সন্দেহ নেই সাকেতের নাম গেরুয়া শিবিরের পক্ষে ঠিক কতটা অস্বস্তিকর। 

আরও পড়ুন বাড়িতেই মুখ্যমন্ত্রীকে হাঁটার পরামর্শ চিকিৎসকদের

রাজ্যসভায় প্রত্যেক সদস্যের কার্যকাল মেয়াদ ৬ বছর করে। ডেরেক ও ব্রায়েন, সুখেন্দুশেখর রায়, দোলা সেন, শান্তা ছেত্রী ২০১৭ সালে নির্বাচিত হয়েছিলেন। তাঁদের কার্যাকালের মেয়াদ শুরু হয় সেই বছরেরই ১৯ অগস্ট থেকে। ডেরেক ও সুখেন্দু রাজ্যসভায় নিয়মকরে প্রায় সব বিটর্কেই অংশ নেন, নিজেদের বাগ্মীতা ও পাণ্ডিত্য তুলে ধরে দলের অবস্থান সকলকে জানান ও বিজেপি তথা নরেন্দ্র মোদির সরকারকে পদে পদে বিঁধতে বিন্দুমাত্র পিছুপা হন না। তাই এই দুইজন যে এবারেও রাজ্যসভায় যাওয়ার টিকিট পাবেন সেটা ধরাই ছিল। দোলা এখন তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনে খুব ভাল ভাবে কাজ করছেন এবং তিনি দলনেত্রীর ঘনিষ্ঠ এবং আস্থাভাজনও। তাই তাঁর দিল্লিযাত্রাও কার্যত পাকা ছিল। শান্তা ছেত্রী তৃণমূলের সদস্য হিসাবে রাজ্যসভায় গেলেও পাহাড়ের রাজনীতিতে সেভাবে ছাপ ফেলতে পারেননি। এমনকি পাহাড়ে দলের কাজে বা সংগঠনের কাজেও তাঁকে সেভাবে পাওয়া যায় না বলেই অভিযোগ। তাই তিনি বাদ পড়তে পারেন এমন একটা আশঙ্কা আগেই দেখা দিয়েছিল। এদিন সেটাই সত্যি হতে দেখা গেল। শান্তার কার্যকালের মেয়াদ শেষ হচ্ছে চলতি বছরের ১৮ অগস্ট।

আরও পড়ুন অমীমাংসিত কর নিষ্পত্তির সময়সীমা বাড়াল মমতার সরকার

দোলাদের সঙ্গে ২০১৭ সালে বাংলা থেকে রাজ্যসভার আসনে নির্বাচিত হয়েছিলেন তৃণমূলের অর্পিতা ঘোষ এবং কংগ্রেসের প্রদীপ ভট্টাচার্য। পরে অর্পিতাকে দলের তরফে পদত্যাগ করতে বলা হয় ২০২১ সালে। অর্পিতা দলের কথা মেনে সেটা করেও দেন। সেই আসনেই অক্টোবরে তৃণমূলের তরফে রাজ্যসভায় পাঠানো হয় সুস্মিতা দেবকে। কিন্তু দেখা যায় সেই সিদ্ধান্তেরও কোনও ছাপ পড়েনি অসমের বরাক উপত্যকার রাজনীতিতে বা ত্রিপুরের বুকে। সেই কারণেই সম্ভবত এবার সুস্মিতাকে আর টিকিট দিল না তৃণমূল। তাঁর মেয়াদও শেষ হচ্ছে শান্তার সঙ্গেই। পরিবর্তে এই দুই আসনে তৃণমূল তুলে আনল দুই নবীন মুখ যারা অভিষেক ঘনিষ্ঠ হিসাবেই দলে পরিচিত। একজন সামিরুল ইসলাম এবং অপরজন প্রকাশ চিক বরাইক। আবার গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফ্যালেরিও তৃণমূলের টিকিটে রাজ্যসভায় গিয়েছিলেন। পরে তিনি সেই আসন থেকে পদত্যাগ করায় এখন সেই আসনেও উপনির্বাচন হচ্ছে। সেখানে এবার তৃণমূলের তরফে প্রার্থী করা হচ্ছে দলের জাতীয় মুখপাত্র সাকেত গোখেলকে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

৩ মাসের ভোট গেরোয় নতুন নাম নথিভুক্তকরণ বন্ধ স্বাস্থ্যসাথীতে, বিপাকে বহু পরিবার

ভোট বড় দায়, বামেদের মুখে ঝামা ঘষে মমতার লক্ষ্মীর ভান্ডারের পাশে বৃন্দা

শ্লীলতাহানি কাণ্ডে রাজভবনে ৩ কর্মীর বিরুদ্ধে দায়ের এফআইআর

কেন এত সময় লাগছে? মানিকতলা উপনির্বাচন নিয়ে কমিশনকে ভর্ৎসনা সুপ্রিম কোর্টের

আচার্য জগদীশ চন্দ্র বোস রোড থেকে উদ্ধার ১২ লক্ষ টাকা ,গ্রেফতার ২

অভিজিতের প্রার্থী পদ বাতিলের দাবি শশী পাঁজার

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর