নিজস্ব প্রতিনিধি: আক্রমণটা শুরু হয়ে গিয়েছিল শুক্রবার থেকে। সেই আক্রমণ শুরু করেছিল নানান সংবাদমাধ্যম। এবার আক্রমণ ধেয়ে এল বাংলার শাসক দলের মুখপত্রের সম্পাদকীয়তেও(Editorial)। সোম সকালের ‘জাগো বাংলা’য়(Jago Bangla), যা বাংলার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের(TMC) মুখপত্র হিসাবে পরিচিত, সম্পাদকীয় বিভাগে রাহুল গান্ধিকে(Rahul Gandhi) তীব্র আক্রমণ শানানো হয়েছে। রাজস্থানের জয়পুরে গত শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছিল কংগ্রেসের(Congress) ৩ দিনের চিন্তন বৈঠক। সেই চিন্তন বৈঠককে ঘিরেই এদিন তৃণমূল আক্রমণ শানিয়েছে রাহুল ও কংগ্রেসকে। ‘চিন্তনের চিন্তা’ শিরোনামে লেখা সম্পাদকীয়তে এদিন ছত্রে ছত্রে আক্রমণ শানানো হয়েছে রাহুলকে। বলা হয়েছে, ‘কংগ্রেসই যে বিজেপির(BJP) আসল বিরোধী সেটা আর এখন মানুষ বিশ্বাস করেন না। মানুষ নিজের অভিজ্ঞতা দিয়ে বুঝেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই(Mamata Banerjee) এখন বিরোধী মুখ। বিজেপিও সেটাই মনে করছে। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর দলকে দাঁত-নখ বের করে আক্রমণ করছে বিজেপি।’
বলা হয়েছে, ‘রাজ্যে রাজ্যে কংগ্রেস কার্যত অপাংক্তেয়। বাংলা থেকে কেরল, গোয়া থেকে পঞ্জাব, কংগ্রেস কোথাও তৃণমূলের কাছে, কোথাও আপের কাছে, কোথাও বিজেপির কাছে হারছে। তাহলে তাঁরা কী করে বিজেপি বিরুদ্ধে লড়াই করবে? শুধু তাই নয়, কোথাও কোথাও সরকারে থাকতে অন্য দলের সঙ্গে জোটে যেতে বাধ্য হচ্ছে। যেমন তামিলনাড়ু ও মহারাষ্ট্র। কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস ২০২৪ এর লড়াইয়ের কথা ভাবছে না। কিন্তু বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কংগ্রেস বার বার ব্যর্থ হচ্ছে। বিজেপিকে রুখতে তৃণমূল কংগ্রেস বসে থাকতে পারে না। ধর্মীয় উন্মাদদের বিরুদ্ধে কঠিন লড়াইয়ের রাস্তায় নামতেই হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই কাজটাই করছেন। রাহুল গান্ধিরা সেই কাজে ব্যর্থ হয়েছেন। এই সারসত্যটা রাহুল গান্ধিও বোঝেন।’ এই সম্পাদকীয়তে কার্যত বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে, ৩ দিনের চিন্তন বৈঠকে কংগ্রেস বা রাহুল যাই দাবি করুন না কেন, এখন প্রামাণ্য সত্যকে মেনে নেওয়াই তাঁদের কাছে মঙ্গলজনক হবে। আর সেই প্রামাণ্য সত্য হল দেশে এখন মোদির প্রধান বিকল্প মুখ হিসাবে উঠে আসছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই। রাহুল সেখানে যোজন কদম পিছিয়ে। তিনি এখন নিজ দলেই ‘হ্যাটা’ হচ্ছেন।