নিজস্ব প্রতিনিধি : জাতীয় নির্বাচন কমিশনের গঠিত জেলা গোয়েন্দা কমিটিতে ইডির ভূমিকা নিয়ে এবার প্রশ্ন তুলল তৃণমূল। সোমবার জাতীয় নির্বাচন কমিশনে গিয়ে স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। স্মারকলিপিতে আধার কার্ড বাতিল ও চোপড়ায় শিশু মৃত্যুর প্রসঙ্গটিও উল্লেখ করা হয়েছে।
জাতীয় নির্বাচন কমিশনের কাছে তৃণমূলের জমা করা স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, ২০২১ সালের নভেম্বরে সংসদে সংশোধনী পাশ করিয়ে ইডি ও সিবিআই প্রধানের মেয়াদ বৃদ্ধি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এরপর ২০২২ সালে টাকা তছরূপ আইনে তল্লাশি চালানো ও সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার অধিকারও দেওয়া হয়েছে ইডিকে। ইডির এই ক্ষমতা বৃদ্ধির পর বেছে বেছে দেশের বিরোধী দলনেতাদের নিশানা করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
এই প্রসঙ্গে ইডির সাফল্য নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে স্মারকলিপিতে। সেখানে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত ৫৯০৬টি মামলা দায়ের করেছে ইডি। এই সব মামলার মধ্যে ১১৪২টি মামলার চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে মাত্র ২৫টি মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে। তারমধ্যে ২৪টি মামলায় অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। তৃণমূলের প্রশ্ন, যেখানে ইডির সাফল্যের হার এতটাই কম, সেখানে কেন নির্বাচন কমিশনের গড়া জেলা গোয়েন্দা কমিটিতে ইডিকে রাখা হচ্ছে। তৃণমূলের আশঙ্কা, ওই দলে ইডির অফিসাররা থাকলে সুবিধা পেতে পারেন রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি।
পাশাপাশি তৃণমূলের স্মারকলিপিতে আধার কার্ড বাতিলের প্রসঙ্গটিও উল্লেখ করা হয়েছে। আধার কার্ড নিয়ে রাজ্যের মানুষ যাতে সমস্যায় না পড়ে সেজন্য বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বিষয়ে ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিয়েছেন তিনি। আধার সংক্রান্ত অভিযোগ জানানোর জন্য পোর্টাল চালু করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার জাতীয় নির্বাচন কমিশনে গিয়েও এই বিষয়ে অভিযোগ করল তৃণমূল। একইসঙ্গে চোপড়ায় শিশুমৃত্যুর প্রসঙ্গ টেনে এনে বিএসএফের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে রাজ্যের শাসক দল। আসন্ন লোকসভা ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী যাতে আইন মেনে কাজ করে, সেই দাবি তুলেছেন তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশনের গঠিত কমিটিতে কেন্দ্র ও রাজ্য উভয়েরই তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা রয়েছেন। সেইসঙ্গে রয়েছেন ইডি আধিকারিকরাও।