নিজস্ব প্রতিনিধি: তৃণমূল কংগ্রেসের শহীদ সমাবেশের মঞ্চ থেকে কেন্দ্র সরকারকে জিএসটি নিয়ে আক্রমণ করতে গিয়ে আচমকা মুড়ি চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু কার কাছে আছে মুড়ি, কোথা থেকে জোগাড় হবে মুড়ি তা নিয়ে কার্যত তৎপরতাতশুরু হয়ে যায় তৃণমূল নেতৃত্বের মধ্যে। সেই সময় এগিয়ে এসেছিলেন মঞ্চের সামনে ভিড়ের মধ্যে থাকা দুই তৃণমূল কর্মী। তাঁদের কাছে থাকা মুড়ি দলনেত্রীর দিকে এগিয়ে দিয়েছিলেন দুজন।
পূর্ব বর্ধমান জেলার আউসগ্রামের বাসিন্দা দেবাশিস মুখোপাধ্যায় এবং নিরঞ্জন পাল। ২১ জুলাইয়ের সমাবেশে দলনেত্রীর ভাষণ শোনার জন্য এদিন তাঁরা এসেছিলেন ধর্মতলায়। সঙ্গে নিজেদের টিফিন করার জন্য এনেছিলেন মুড়ি। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন মঞ্চে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, “কার হাতে মুড়ি রয়েছে? একটু দাও।” তখন দেবাশিস ও নিরঞ্জন নিজেদের জন্য আনা মুড়ি এগিয়ে দিয়েছিলেন দিদির দিকে। যদিও কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে সেই মুড়ি নিয়ে প্রতিবাদ জানানোর পর তা ফেরতও দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত সম্প্রতি কেন্দ্র সরকার মুড়ি ও চিড়ের ওপর জিএসটি ধার্য করেছে। এদিন শহীদ স্মরণ সমাবেশের মঞ্চ থেকেই মুখ্যমন্ত্রী তার প্রতিবাদ জানান। সেই সময় কর্মীদের থেকে মুড়ি চেয়ে নেন তিনি।
অন্যদিকে তাঁদের আনা মুড়ি হাতে নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছেন এই দৃশ্য বিশ্বাস করতে পারছেন দুই তৃণমূল কর্মী দেবাশিস ও নিরঞ্জন। এই বিষয়টি নিয়ে এক সংবাদমাধ্যমকে দেবাশিস মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘আমরা যবে থেকে তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত হয়েছি তবে থেকে ২১ জুলাই শহিদ স্মরণে কলকাতায় আসছি। গ্রাম থেকে মুড়ি নিয়ে এসেছিলাম টিফিন করব বলে। সেই মুড়ি দিদির হাতের ছোঁয়া পেয়েছে। এই মুড়ি আমরা প্রসাদ হিসেবে ফিরে গিয়ে গ্রহণ করব। কিছুটা মুড়ি যত্ন সহকারে পার্টি অফিসে রেখে দেব।’ আরেক তৃণমূল কর্মী নিরঞ্জন পাল বলেন, “আমরা আপ্লুত। এই স্মৃতি নিয়েই আমরা গ্রামে ফিরে যাব।’