নিজস্ব প্রতিনিধি: কর্মচারী রাজ্য বিমা নিগমের (ইএসআইসি) ২৪ জন আধিকারিককে একসঙ্গে বদলির নির্দেশিকা জারি করল সরকার। যা নিয়ে কর্মচারীদের মধ্যে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। যদিও আধিকারিকদের বদলির নির্দেশ নিয়ে শ্রমমন্ত্রকের তরফে দাবি করা হয়েছে, এটি একেবারেই ‘রুটিন’ বদলি। এর মধ্যে অন্য কোনও বিতর্ক নেই।
সদ্য বিভিন্ন রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী এবং শ্রমসচিবদের নিয়ে জাতীয় স্তরে কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত শুক্রবারই শেষ হয়েছে নিয়ে দেশের বিভিন্ন রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী এবং শ্রমসচিবদের নিয়ে দু’দিনের ন্যাশনাল লেবার কনফারেন্স। সেই কনফারেন্স শেষ হতে না হতে পরদিন শনিবার আধিকারিকদের বদলির জন্য নির্দেশিকা জারি করা হল। এই ঘটনায় কর্মচারী রাজ্য বিমা নিগমের কর্মী ও আধিকারিকদের মধ্যে শরগোল পড়ে গিয়েছে। যদিও বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রের শ্রম মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, এটি রুটিন বদলি। নিয়ম মেনেই করা হয়েছে। বদলির নির্দেশিকাতে দাবি করা হয়েছে, ট্রান্সফার কমিটির সুপারিশ মেনেই ‘ট্রান্সফার বর্ষ-২০২২’ এর জন্য আধিকারিকদের বদলির নির্দেশ দেওয়া হল। কিন্তু তাতেও বিতর্ক শেষ হওয়ার কোনও লক্ষণ নেই। ক্রমশ এই বদলির নির্দেশ ঘিরে জল্পনা তৈরি হয়েছে।
যে ২৪ জন আধিকারিককে বদলির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাঁদের মধ্যে রয়েছেন কর্মচারী রাজ্য বিমা নিগমের ব্যারাকপুরের উপ-আঞ্চলিক কার্যালয়ের এক আধিকারিক। তাঁকে ব্যারাকপুর থেকে দিল্লিতে সদর দফতরে বদলি করা হয়েছে। আরেকজন আধিকারিককে ইএসআইসির ওড়িশা আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে পশ্চিমবঙ্গের কার্যালয়ে বদলির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ওই বদলির নির্দেশিকাতে বলা হয়েছে যদি কোনও আধিকারিকের এই বদলি নিয়ে কোনওরকম অভিযোগ থাকে তবে তা সুনির্দিষ্টভাবে জানাতে হবে। তবে তার জন্যও সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে, বদলির নির্দেশ পাওয়া আধিকারিকরা আগামী ২৯ আগস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সুনির্দিষ্টভাবে তাঁদের অভিযোগ জানাতে পারবেন।