নিজস্ব প্রতিনিধি: রবিবাসরীয় পুরভোটে বেশ কয়েকটি জেলায় বিক্ষিপ্ত অশান্তির জেরে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাসকে জরুরি তলব করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। সূত্রের খবর, কেন কলকাতা হাইকোর্টে প্রতিশ্রুতি দেওয়া সত্বেও সুষ্ঠভাবে নির্বাচন করানো সম্ভব হলো না, সে বিষয়ে কৈফিয়ৎ তলব করার পাশাপাশি অশান্তি হওয়া পুরসভাতে পুনর্নির্বাচন নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশন কী চিন্তাভাবনা করছে সে বিষয়েও রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্য জানতে চাইবেন তিনি। যদিও রাজ্য নির্বাচন কমিশনের এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, যে সব পুর এলাকায় অশান্তির ঘটনা ঘটেছে, সেখানকার দায়িত্বে থাকা নির্বাচনী আধিকারিকদের কাছ থেকে পাওয়া রিপোর্টের পরেই পুনর্নির্বাচন নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এদিন সকালে পুরভোট শুরু হওয়ার পরে মুর্শিদাবাদ, উত্তর ২৪ পরগনা ও নদিয়ার একাংশ থেকে অশান্তির খবর মিলতে শুরু করে। শাসকদলের সঙ্গে সম্মিলিত বিরোধী শিবিরের প্রার্থী-কর্মীরা বচসা ও হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। অশান্তির জেরে একাধিক বুথে ইভিএম ভাঙচুরের মতো ন্যক্কারজনক ঘটনাও ঘটে। আর ওই ন্যক্কারজনক ঘটনায় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অভিযুক্ত বিজেপি। ইভিএম ভাঙচুরের ঘটনায় বেশ কয়েকজন বিজেপি প্রার্থীকে গ্রেফতার করাও হয়।
রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, মোট আটটি ইভিএম ভাঙচুর হয়েছে। পরে ওই ইভিএম পরিবর্তন করে নতুন ইভিএমে ভোট নেওয়া হয়। দুপুর তিনটে পর্যন্ত নির্ধারিত অভিযোগের ভিত্তিতে ১৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযোগ ওঠায় তিন জন প্রিসাইডিং অফিসারকে পরিবর্তন করা হয়েছে।
এদিন কাঁথি সহ বিভিন্ন জায়গায় ভোট লুটের অভিযোগ জানিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাসকে ফোন করেছিলেন বিজেপি পরিষদীয় দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি অভিযোগ করেন, ভোটের নামে সন্ত্রাস চালাচ্ছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা। সূত্রের খবর, রাজ্যপালকেও ভোট সন্ত্রাসের অভিযোগ জানিয়েছেন রাজ্য বিজেপি নেতারা। আর তার পরেই রাজ্যের নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাসকে জরুরি তলব করেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান।