নিজস্ব প্রতিনিধি: মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার(Democratic Right) হল ভোটাধিকার(Right to Vote) প্রয়োগ করা। সেই ভোটের দিনে অফিস থেকে ছুটি মিলবে কী মিলবে না সেটা নিয়ে অনেকেই চিন্তিত থাকেন। বিশেষ করে বেসরকারি অফিসে কাজ করা আমজনতা। বাংলা(Bengal) তথা দেশজুড়ে ঘোষিত হয়ে গিয়েছে লোকসভা নির্বাচনের(Loksabha Election 2024) দিনক্ষণ। আগামী ১৯ এপ্রিল থেকে সেই ভোটদানের পর্ব শুরু হচ্ছে। ৭ দফার মাধ্যমে সেই ভোটদানের দিন শেষ হচ্ছে ১ জুন। এই মাঝখানের থাকছে ৫টি দিন যেদিন যেদিন ভোটদানের সুযোগ থাকছে। এক এক দিন এক একটি লোকসভা কেন্দ্রে। কেননা দেশে এবার ৭ দফায় ভোট গ্রহণ করা হচ্ছে। বাংলাতেও ৭ দফাতেই ভোট হবে। সেই দিনগুলি হল – ১৯ এপ্রিল, ২৬ এপ্রিল, ৭ মে, ১৩ মে, ২০ মে, ২৫ মে এবং ১ জুন। এবার সেই দিনগুলিতে রাজ্যে সরকারি ছুটি(Government Holiday) ঘোষণা করে দিল রাজ্য সরকার। এই নিয়ে এদিনই বিজ্ঞপ্তি(Notification) জারি করেছে নবান্ন।
নবান্নের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, যে যে কেন্দ্রে যেদিন যেদিন নির্বাচন, সেই কেন্দ্রগুলির ভোটার তথা রাজ্য সরকারের কর্মী, সেদিন সেদিন সবেতন ছুটি পাবেন। বেসরকারি কর্মীদেরও ওই দিনগুলিতে ছুটি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। তবে শ্রম দফতরের তরফে সে নিয়ে একটি পৃথক বিজ্ঞাপ্তি জারি করা হবে পরে। একই সঙ্গে বিজ্ঞপ্তিতে এটাও জানানো হয়েছে, যে ৭ দফা ভোটের দিন অর্থাৎ ১৯ এপ্রিল, ২৬ এপ্রিল, ৭ মে, ১৩ মে, ২০ মে, ২৫ মে এবং ১ জুন, যে যে এলাকায় ভোট সেই সেই এলাকার সব অফিস কাছারি সেদিওন বন্ধ থাকবে। নিজের লোকসভা এলাকার বাইরে কর্মরত কর্মীরাও নিজেদের এলাকার ভোটের দিন ছুটি পাবেন। এর বাইরে সরকারের দেওয়া বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, যে যে স্কুলকে ভোটকেন্দ্র হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে, সেই কেন্দ্রগুলিতে ভোটের আগের দিনগুলিতে ছুটি দিতে হবে। ভোটপ্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত সরকারি কর্মীদের যদি গভীর রাত পর্যন্ত ভোটের কাজ করতে হয়, তাহলে ভোটের পরদিন তাঁদের স্পেশ্যাল লিভ দেওয়া হবে।
এছাড়াও বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কোনও কারণে কোনও বুথে যদি পুনর্নির্বাচন হয়, তাহলে সেদিনও ওই এলাকার সরকারি কর্মীরা ছুটি পাবেন। মনে করা হচ্ছে, ভোটদানে উৎসাহ দেওয়ার জন্যই এই ছুটি দেওয়া হয়েছে। বেতন কাটার আশঙ্কায় যাতে কোনও কর্মচারী ভোটদানে গরহাজির না থাকেন, সে কারণে সবেতন ছুটি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। ভোটের দিনগুলিতে রাজ্যে সরকারি ছুটি ঘোষণা অবশ্য দস্তুর হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেই দস্তুর মেনেই বৃহস্পতিবার ছুটির বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে নবান্ন। যদিও এটাও সত্য যে সব বেসরকারি অফিস সবাইকে ভোটের দিন ছুটি দিতে চায় না। ইচ্ছাকৃত ভাবে কর্মীদের হয়রানি করতে বা তাঁদের বেতন থেকে টাকার কাটার কুরুচিকর মানসিকতার জন্য সেই পদক্ষেপ করা হয়।