নিজস্ব প্রতিনিধি : ঘাটশিলা হল ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্যের পূর্ব সিংভূম জেলার একটি শহর। অতীতে আবহাওয়া বদল করতে বাঙালিরা ঘাটশিলা আসতেন। এখনও আসেন বহু মানুষ। হেঁটে হেঁটে নানা জায়গায় বেড়াতেন বিভূতিভূষণ। তাঁর “আরণ্যক” উপন্যাসের সেই ফুলডুংরি পাহাড়, এখনো যেতে পারেন সেই সুন্দর ছোট্ট পাহাড়ে। ঘাটশিলার প্রান সুবর্ণরেখা নদী, কথিত আছে এই নদীর বালুতটে নাকি সোনা পাওয়া যেত, তাই এর নাম সুবর্ণরেখা। ঘাটশিলা ভ্রমণের প্রতি মুহুর্তে সুবর্ণারেখা বাঙালির মনকে যেন ছুঁয়ে যায় বাংলা সাহিত্যের হাত ধরে।পাশাপাশি শোনা যায়, সুবর্ণারেখা নদীর ঘাটে শত শত শিলা শায়িত বলে নাকি এই স্থানের নামকরণ করা হয়েছে ঘাটশিলা। এর কাছেই রয়েছে আদিবাসীদের গ্রাম। হেঁটে হেঁটে যেতে, ভ্রমণ প্রেমীদের ভালোই লাগবে। ঘাটশিলা স্টেশনের কাছাকাছি রয়েছে দামের হোটেল।ঘাটশিলার দহিগোড়ায় প্রাকৃতিক পরিবেশের মধ্যে থাকার জন্য রয়েছে রামকৃষ্ণ মঠের অতিথিশালা।
বর্ষায় যেমন এই ঘাটশিলার সমস্ত পাহাড় ও জঙ্গল একদম সবুজ থাকে তেমনি সমস্ত ঝর্না জলে পরিপুর্ন থাকে। আবার শীতকালে এখানকার জঙ্গলের গাছ থেকে পাতা ঝরতে থাকে লতাগুল্ম একটু কম থাকে যেটা অ্যাডভেঞ্চার এর জন্য খুব আদর্শ।
কিভাবে যাবেন : কলকাতা থেকে দূরত্ব ২১৫ কিমি, যেতে সময় লাগে ৩ বা সাড়ে ৩ ঘন্টা। হাওড়া থেকে ঘাটশিলা ভ্রমণের জন্য জনশতাব্দী এক্সপ্রেস সবথেকে দ্রুত, এটি সকাল ৬টা ২০ মিনিটে ছাড়ে। এছাড়াও রয়েছে হাওড়া ইস্পাত এক্সপ্রেস,স্টিল এক্সপ্রেস, টাটানগর ফেস্টিভ্যাল স্পেশাল।ঘাটশিলা নামার পর স্টেশনে চত্ত্বরেই অনেক কিছু অটো এবং গাড়ি আছে। অটোর ক্ষেত্রে বিভিন্ন স্পট ঘুরে দেখার নির্দিষ্ট ভাড়া বেঁধে দেওয়া আছে। সেগুলির কোনও একটি ভাড়া করে নিলে সারা দিনের জন্য নিশ্চিন্ত।