নিজস্ব প্রতিনিধি: নজীরবিহীন ঘটনা। স্মরণাতীতকালে এর আগে কবে এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে তা অনেকেই মনে করতে পারছেন না। চলতি সপ্তাহেই আবারও বসতে চলেছে রাজ্য মন্তিসভার(State Cabinet) বৈঠক। কার্যত জরুরি ভিত্তিতে চলতি সপ্তাহে দ্বিতীয়বারের জন্য রাজ্য মন্ত্রিসভার এই বৈঠক ডাকলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরেকৃষ্ণ দ্বিবেদী। চলতি সপ্তাহের সোমবারই নবান্নে(Nabanna) রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক বসেছিল। এবার সেই বৈঠকের তিন দিনের মাথায় ফের চলতি সপ্তাহের বৃহস্পতিবার অর্থাৎ আগামিকাল ফের রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক ডাকা হয়েছে। একই সঙ্গে ওই দিনই দুপুর সাড়ে ৩টের সময় আবার স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠক ডাকা হয়েছে। তবে তার আগেই হবে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক যা বসবে দুপুর ৩টের সময়। অর্থাৎ রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষ হলে তারপরেই স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠক শুরু হবে।
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবারই রাজ্য মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীদের কাছে ক্যাবিনেট পেপার পৌঁছে গিয়েছে। অভিজ্ঞ আমলাদের দাবি, সাম্প্রতিক অতীতে এক সপ্তাহে এইভাবে দুবার মন্ত্রিসভার বৈঠক বসেনি। সূত্রের দাবি, অতি গুরুত্বপূর্ণ কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে এই বৈঠকে। আমলামহলের দাবি, এক নয় একাধিক বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে এই বৈঠকে। কলকাতা হাইকোর্ট(Calcutta High Court) ডিএ মামলায় যে রায় দিয়েছে তা নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারে রাজ্য সরকার। ওই রায়ের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকার এখনও সুপ্রিম কোর্টে কোনও আবেদন জানায়নি। তবে মামলাকারীরা আগে থেকেই সেখানে ক্যাভিয়েট দাখিল করে রেখেছে। আদালতএর নির্দেশ মতো আগামী ৩ মাসের মধ্যে বকেয়া ডিএ(DA) মেটাতে হলে রাজ্যের উন্নয়নমূলক সব প্রকল্প তো ধাক্কা খাবেই সেই সঙ্গে রাজ্য সরকার যে সব আর্থসামাজিক প্রকল্প চালু রেখেছে সেগুলিও বন্ধ হয়ে যেতে পারে। মনে করা হচ্ছে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই বিষয়টি নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত গৃহীত হতে পারে।
এছাড়াও আলোচনা হতে পারে রাজ্যের ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচন(Panchayat Election) নিয়ে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই ইঙ্গিত দিয়েছেন পঞ্চায়েত নির্বাচন এগিয়ে আনা হবে। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি বছরের নভেম্বর মাসে সেই নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারি করে ডিসেম্বর মাসেই ভোট করিয়ে নিতে পারে রাজ্য। সেই হিসাব মাথায় রেখেই মুখ্যমন্ত্রী চাইছেন গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে যে সব বকেয়া কাজ রয়েছে সেগুলি যেন দ্রুত শেষ করা হয়। রাজ্যের বিভিন্ন দফতরের যে সব কাজ চলছে বা হাতে পড়ে রয়েছে সেগুলির গুরুত্ব বুঝে দ্রুত শেষ করার নির্দেশ ওই বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রী দিতে পারেন বলেই মনে করা হচ্ছে। আবার এটাও হতে পারে রাজ্যের বিভিন্ন দফতরের বরাদ্দকৃত অর্থ কাটছাঁট করে আদালতের নির্দেশ মেনে বকেয়া ডিএ প্রদানের সিদ্ধান্তও নিতে পারে রাজ্য সরকার।