নিজস্ব প্রতিনিধি: উল্টোরথের দিন আর উল্টোপথে হাঁটা দিলেন না রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে(Presidential Election) বিরোধী শিবিরের প্রার্থী যশোবন্ত সিনহা(Yashwant Sinha)। বরঞ্চ দাঁড়ালেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) পাশেই। সঙ্গে সাফ জানিয়ে দিলেন, ‘মমতা ভুল কিছু বলেননি, ভুল কিছু করেননি। শুধু বিজেপির ভুলটা ধরিয়ে দিয়েছেন। তাই লড়াই হচ্ছেই। আমি প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করে নিতে পারি বলে যে জল্পনা ছড়িয়েছে তা ভুল। সরছি না নির্বাচন থেকে।’ রথের দিন কলকাতায় মমতা এনডিএ(NDA) শিবিরের প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু(Droupadi Murmu)কে নিয়ে জানিয়েছিলেন, ‘বিজেপির তরফে দ্রৌপদীর নামই কেউ বলেনি। আগে থেকে যদি বিজেপি জানাত যে একজন আদিবাসী মহিলাকে তাঁরা প্রার্থী করছে তা হলে আমরাও চেষ্টা করতাম। বৃহত্তর স্বার্থে আমরা ১৭টা দল মিলে একটা সিদ্ধান্ত নিতে পারতাম। ঐকমত্যের ভিত্তিতে হতেই পারত। কিন্তু বিজেপি শুধু আমাদের সাজেশনটা জানতে চেয়েছিল, ওদের সাজেশনটা জানায়নি।’ মমতার এই মন্তব্যের দরুণ দেশজুড়েই একতা জল্পনা ছড়িয়েছিল যে মমতা হয়তো শেষমুহুর্তে যশোবন্তের পাশ থেকে সরে যেতে পারেন। যদিও উল্টোরথের দিন সেই সম্ভাবনা খারিজ করে দিলেন যশোবন্ত নিজেই।
ঠিক কী বলেছেন যশোবন্ত? তিনি জানিয়েছেন, ‘বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের তরফে আগে জানালে দ্রৌপদীর মতো এক জন জনজাতি মহিলা রাষ্ট্রপতি পদে সর্বসম্মত প্রার্থী হতেই পারতেন। আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমর্থন করছি। রাষ্ট্রপতি পদের জন্য সর্বসম্মত ভাবেই প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা যেতে পারত। আমি অতীতেও বলেছি, রাষ্ট্রপতি পদের জন্য নির্বাচন হওয়া উচিত নয়। সর্বসম্মত ভাবে রাষ্ট্রপতি পদের জন্য প্রার্থী বেছে নেওয়া উচিত। সুতরাং, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভুল কিছু বলেননি। দেশে সর্বোচ্চ সাংবিধানিক পদের জন্য এই যে নির্বাচন হচ্ছে, তার দায় সম্পূর্ণ শাসকদলের। রাষ্ট্রপতি নির্বাচন এক ব্যক্তির সঙ্গে আর এক ব্যক্তির লড়াই নয়। বরং, দুই মতাদর্শের লড়াই।’ ঘটনা হচ্ছে যশোবন্ত ময়দানে থাকলেও দ্রৌপদীর জয় কার্যত নিশ্চিন্ত। বিশেষ করে মহারাষ্ট্রের ঘটনার পরে দ্রৌপদীর জয়ের সম্ভাবনা আরও জোরদার হয়ে গিয়েছে।