নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতাঃ হাতে আর মাত্র কয়েকটা দিন। তার পরেই কালীপুজো (Kali pujo)। আলোর উৎসব দীপাবলির প্রস্তুতি তুঙ্গে। আর কালীপুজো মানেই নির্জলা উপবাস (Fasting)। সারাটা দিন নির্জলা উপবাস থেকে মধ্যরাত্রে মা কালীর পুজো করে উপবাস ভাঙা হয়। অনেকে মনে করেন ভগবানের কাছে ভক্তি ভরে প্রার্থনা করলেই তিনি সারা দেন তার জন্য উপবাস করার প্রয়োজন পরে না। আবার ধার্মিকদের মতে উপবাস না করে পুজো দিলে তার কোনো ফল হয় না। কিন্তু সারাদিন উপবাস করে থাকার উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে সমাজে বিভিন্ন ধারণা প্রচলিত আছে।
অনেকে মনে করেন উপবাস করলে নাকি যৌবন দীর্ঘস্থায়ী হয়। কেউ কেউ বলেন মাঝে মাঝে উপবাস করলে শরীর থেকে ক্ষতিকর বর্জ্য বেরিয়ে গিয়ে ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়ে। উপবাসের ফলে শরীর থেকে ক্ষতিকর কোলেস্টেরল বেরিয়ে গিয়ে শরীর সুস্থ থাকে। চিকিৎসকদের মতে উপবাস করা মানে শরীরের পরিপাক ক্রিয়াকে বিশ্রাম দেওয়া ।সেটার তো কিছু সুবিধা অবশ্যই থাকে। কিন্তু সেই উপকারিতা নির্ভর করে উপবাস কী ভাবে করা হচ্ছে তার উপরে।
অনেকে উপবাস ভাঙার পরে বেশি তেল-মশলা যুক্ত খাবার খান। অনেকে আবার উপবাস ভাঙার সময় প্রচুর পরিমাণে ফল মিষ্টি খান। এর ফলে উপকারের থেকে উপকার বেশি হয় সারাদিন না খেয়ে থাকার পর একসঙ্গে এতটা ভারী খাবার শরীরের পরিপাক ক্রিয়ার উপর চাপ সৃষ্টি করে। তাই উপবাসের আগে বা পরে কী খাওয়া হচ্ছে, সে দিকে নজর দেওয়া ভীষণ জরুরি। উপবাসের আগে এবং পরে সব সময়ে হালকা আর সহজপাচ্য খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। উপবাস ভাঙার সময় লেবুর জল, লস্যি, মৌসাম্বির রস প্রভৃতি খাওয়া যেতে পারে। এছাড়াও সহজপাচ্য কোনো খাবার খেয়ে উপবাস ভাঙলে শরীর সুস্থ থাকবে।