নিজস্ব প্রতিনিধি: আগামিকাল সরস্বতী পুজো। ইতিমধ্যেই স্কুল-কলেজে জোরকদমে প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। বিদ্যার দেবী সরস্বতী। বিশেষত হিন্দুদের উৎসব সরস্বতী পুজো। বিদ্যার পাশাপাশি সঙ্গীতের দেবীও বলা হয় দেবী সরস্বতীকেও। মাঘ মাসের শুক্লা পঞ্চমী তিথিতে বাগদেবীর আরাধনা করা হয়ে থাকে। অর্থাৎ জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি দিকেই সরস্বতী পুজো করা হয়। এদিন রাস্তাঘাটে সুন্দর সুন্দর ফুলের মতো শিশুদের দেখা মিলবে। এদিকে সরস্বতী পুজোতেই প্রথম হাতেখড়ি হয় শিশুদের। বিদ্যা আমাদের সকলের জীবনেই অন্যতম অলংকার। তাই বিদ্যা না ছাড়া কোনও গতি নেই। এদিন সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতেও আলাদাই উত্তেজনা থাকে। স্কুল, কলেজে জমকালো পুজোর আয়োজন, খাওয়া-দাওয়া, শাড়ি পরে যাওয়া, সবকিছুর মধ্যেই থাকে আলাদাই উত্তেজনা। বিশেষ করে, পুজোর আগের দিন স্কুলে দিদিমণিদের সঙ্গে সরস্বতী ঠাকুর আনতে যাওয়া, পুজোর জোগাড় করা সবটার মধ্যেই থাকে আলাদাই নস্টালজিয়া। তবে প্রত্যেকটি বাঙালি বাড়িতেও সরস্বতী পুজো করা হয়। সরস্বতী পুজোর দিনটিকে অনেকে ‘শীতলষষ্ঠী’ও বলে। অনেক বাড়িতে এই বিশেষ দিনের পর অরন্ধন পালন করা হয়। আবার অনেক বাড়িতে ‘সব রান্না সিদ্ধ করা হয়।
এবার আমরা জানবো, সরস্বতী পুজোর ঠিক কী কী গুরুত্ব রয়েছে….
সাধারণত শ্রীপঞ্চমীর দিন সকালে আয়োজিত হয় সরস্বতী পুজোর। সরস্বতী পুজোর সরঞ্জাম হিসেবে থাকে, আবীর, আমের মুকুল, দোয়াত কলম ও যবের শিষ ও একটি বিশেষ ফুল। তবে বাসন্তী রঙের ফুল, পলাশ ফুল ছাড়া এই পুজো সম্ভব নয়। প্রচলিত আছে, সরস্বতী পুজোর আগে পড়ুয়ারা কুল খান না। কারণ পুজোতে দেবীকে কুল দেওয়া হয়, তাই পুজো হয়ে গেলে ছাত্র-ছাত্রীরা কুল খায়।
এই বিশেষ দিনে কী কী রীতি প্রচলন আছে জেনে নিন….
পুজোর দিন পড়ুয়াদের লেখাপড়া করা যাবেনা। কারণ সরস্বতীকে বই উৎসর্গ করার নিয়ম রয়েছে। এই দিনে পুষ্পাঞ্জলি দেওয়ার বিশেষ রীতি আছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পড়ুয়ারা বাসন্তী বা হলুদ রঙের শাড়ী পরে স্কুল, কলেজ বা বাড়িতে পুষ্পাঞ্জলি দিয়ে থাকেন। প্রাচীন কাল থেকেই সরস্বতী পুজো পালন করা হয় থাকে। বিশেষ দিনে পড়ুয়ারা সকাল বেলায় উপবাস থেকে অঞ্জলি দেন। প্রথা মেনে অনেক পড়ুয়াই নিরামিষ খেয়ে থাকেন। হিন্দুদের মধ্যে অনেকেই খিচুড়ি খান। এবছর ২৬ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার প্রজাতন্ত্র দিবসের দিনে সরস্বতী পুজো পড়েছে।