নিজস্ব প্রতিনিধি: উৎসবের মাঝেই বাঁধ সেধেছে করোনা, বদলে গেছে উৎসবের চেনা মেজাজ। ফলে ২০২০ সালের দুর্গাপুজো ঘিরে শাস্ত্রবিধি থেকে স্বাস্থ্যবিধি মানার চেষ্টাই বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে সকলের কাছে। এমন এক পরিস্থিতিতে নবরাত্রির নবদুর্গা পুজোয় কোন কোন ভোগ মাকে অর্পণ করা হয় জেনে নিন।
১. মা শৈলপুত্রী (ঘি)– প্রথমার দিন নবদুর্গা পুজোয় মা শৈলপুত্রীকে পুজো করা হয়। সেদিন মাকে ঘিয়ের তৈরি ভোগ দেওয়া হয়। আলুর হালুয়া, রাজগিরা লাড্ডু, আর সাবুদানার খিছুড়ি ভোগে রাখা হয় নবদুর্গার পুজোয়। এদিন হলুদ বস্ত্র পরে পুজোর কাজ করলে রোগ মুক্ত পায়।
২. ব্রহ্মচারিণী (চিনি)– নবরাত্রির দ্বিতীয় দিনে দেবী ব্রহ্মচারিণীকে পুজো করা হয়। সেই দিন ভোগে চিনির তৈরি কিছু অর্পণ করা হয়। গুজরাতের দিকে, কলার বরফি বা আটার হালুয়া এদিন মাকে ভোগ স্বরূপ দেওয়া হয়। এদিন সবুজ রং শুভ মানা হয়ে থাকে।
৩. চন্দ্রঘণ্টা (ক্ষীর)– তৃতীয়াতে মা চন্দ্রঘণ্টাকে পুজো করা হয়। নবদুর্গা পুজোয় এই চন্দ্রঘণ্টার আরাধনায় দুধ অর্পণ করার রীতি প্রচলিত। মাখন, ক্ষীর আর ফল দিয়ে এদিন মাকে ভোগ দেওয়া হয়।
৪. কুষ্মান্ডা (মালপোয়া)– দেবী কুষ্মান্ডার পুজো হয় চতুর্থীর দিন। সেদিন সারা দিন উপবাসের পর ভক্তরা মাকে পুজো অর্পণ করেন। এদিন দেবীকে মালপোয়া অর্পণ করা হয়। এদিন কমলা পোশাক পরে মাকে পুজো করা হয়।
৫. স্কন্দমাতা (কলা)– দেবী স্কন্দমাতাকে পুজো করা হয় পঞ্চমী তিথিতে। সেদিন কার্যত সূর্য ধীরে ধীরে মধ্যগগনের দিকে যেতে শুরু করে। এদিন ভোগ হিসাবে দেওয়া হয়, কলা থেকে তৈরি খাবার। এদিন উজ্জ্বল রঙের বস্ত্র পরা উচিত।
৬. কাত্যায়নী (মধু)– নবরাত্রির ষষ্ঠীর দিন মা কাত্যায়নীকে পুজো করা হয়। সেদিন সাদা পোশাকে ভক্তরা এই পুজো সম্পন্ন করেন। এদিন মাকে আলুর তৈরি সব্জি ভোগে দেওয়া হয়। এদিন শুভ রং লাল।
৭. কালরাত্রি (গুড়)– সপ্তমীর ভোগ সপ্তমী তিথিতে দেবী কালরাত্রির পুজো করা হয়। ভোগ হিসাবে এদিন দেবীকে গুড়ের তৈরি খাবার অর্পণ করা হয়। এদিন নীল রঙের বস্ত্র পরা উচিত।
৮. মহাগৌরী (নারকেল)– অষ্টমীর দিন নবদুর্গার পুজোয় মহাধুমধাম করা হয়। সেই দিন দেবীকে মহাগৌরী রূপে পুজো করা হয়। এমন দিনে নারকেলের তৈরি মিষ্টি দেবীকে অর্পণ করা হয়। এদিন গোলাপি রঙের বস্ত্র পরা উচিত।
৯. সিদ্ধিদাত্রী (তিল)– নবদুর্গার পুজোয় শেষ দিন নবমী। সেই দিন দেবীকে সিদ্ধিদাত্রী রূপে পুজো করা হয়। এদিন বেগুনী রঙের বস্ত্র পরা উচিত। সেদিন দেবীকে হালুয়া পুরী ও ছোলার খাবার অর্পণ করা হয়।