অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন।গরমের তীব্রতায় ছোট-বড় সবার হাঁসফাঁস অবস্থা। এইমসয় হিট স্ট্রোকের সম্ভাবনাও বেশি থাকে।এইসময় শরীরেও নানান পরিবর্তন আসে। শারীরিক সমস্যা তো আছেই,সঙ্গে জলশূন্যতা। এই তপ্ত রোদ থেকে বাঁচতে একবার পান করুন বেলের পানা। গরমে এই বেলের পানার উপকারিতা বহুমুখি।
বেল পানা : বেল ভেঙে তার ভিতর থেকে শাঁস বার করে,এটাকে চটকে ছাঁকনির সাহায্যে বেলের ক্বাথ ভাল করে ছেঁকে নিতে হবে। এরপর চিনি লবণ ভাল করে গুলে নিয়ে রেডি বেলের পানা। এর সঙ্গে পুদিনা পাতার কুচি মিশিয়ে সার্ভ করতে পারেন।
পেটের সমস্যা সারাতে : পেটফাঁপা, হজমের গোলমাল,কোষ্ঠকাঠিন্য সারাতে বেলের পানার কোন তুলনা হয় না।
ত্বকের জেল্লা : গরমে ত্বকের জেল্লা ধরে রাখতে বেলের পানা বা শরবতের জুড়ি একেবারে পারফেক্ট।
ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট : আমাদের ত্বকের জন্য উপকারী ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট পুষ্টিবিদেরা বলছেন, এই ফলের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। এই দু’টি উপাদান আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়।
কিডনি ভালো রাখতে : এতে বেলের গুরুত্বপুর্ণ ভুমিকা রয়েছে। বেলে রয়েছে আছে এমন কিছু উপকারী উপাদান যা কিডনিকে ডিটক্সিফাই করতে সাহায্য করে। ফলে দেহ বিভিন্ন প্রকার অসুখ থেকে কিডনিকে মুক্ত থাকে।
অন্ত্র ভাল রাখতে : বেল শরীর থেকে ‘টক্সিন’ বার করতে সাহায্য করে। এর মধ্যে থাকা সহজপাচ্য ফাইবার অন্ত্র ভাল রাখতে সাহায্য করে।
চোখের দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতে : এতে প্রচুর ভিটামিন এ থাকে যা চোখের জন্য একটি উপকারি উপাদান এবং এটি চোখে পুষ্টি যোগায়।এছাড়াও বেলপাতার রস মধুর সঙ্গে মিশিয়ে পান করলে চোখের ছানি কমে যায়। যারা নিয়মিত বেল খায়, তাদের চোখের বিভিন্ন অসুখ হওয়ার প্রবণতা কম থাকে।
এছাড়াও সর্দি জ্বর হলে এক চামচ বেলপাতার রস খাওয়ালে দ্রুত সর্দি ও জ্বরভাব কেটে যায়।