নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া সত্বেও দেশে এইডসের সংক্রমণ রোখা যাচ্ছে না। এখনও পর্যন্ত মারণ রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন এক হাজার ৮৯০ জন। আর এই মুহুর্তে এইডস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৯ হাজার ৭০৮ জন। তার মধ্যে চিকিৎসাধীন ৬ হাজার ৭৫ জন। রবিবার জাতীয় সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে আঁতকে ওঠার মতো পরিসংখ্যান জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
গত কয়েক বছর ধরেই এইডসের বিরুদ্ধে বিসেষ প্রচারাভিয়ান শুরু করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। যৌন সম্পর্কের ক্ষেত্রে ল্যাটেক্স কনডোম ব্যবহারের জন্য বার বার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। দেশের স্বীকৃত যৌন পল্লীতেও কনডোম ব্যবহারের ক্ষেত্রে যৌন কর্মীদের বিশেষভাবে সতর্ক করা হচ্ছে। তা সত্বেও এইচআইভি পজিটিভ রোগীর সংখ্যা ঊর্ধ্বমুখী। দেশে এইডস রোগীর সংখ্যা কত এবং এইডস সংক্রমণ রুখতে প্রশাসন কী পদক্ষেপ নিয়েছে তা জানতে চেয়েছিলেন সাংসদ লুৎফুন নেসা খান।
প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, ‘এইচআইভি অর্থাৎ এইডস রোগীদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। ১১টি সরকারি হাসপাতাল থেকে এইডস রোগীদের বিনামূল্যে ওষুধ সরবরাহ করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে ২৩টি সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে এইডস পরীক্ষা করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ১৩৪টি ড্রপ ইন সেন্টারের মাধ্যমে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে এইচআইভি প্রতিরোধমূলক সেবা দেওয়া হচ্ছে।’ উল্লেখ্য, ১৯৮৯ সালে দেশে প্রথম এইডস রোগীর সন্ধান মেলে। ২০১৩ সালের ৩০ নভেম্বর দেশে এইডস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল এক হাজার ২৯৯। অর্থাৎ নয় বছরে মারণ ব্যাধি আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে আট হাজার ৬০০’র বেশি।