নিজস্ব প্রতিনিধি: রাস্তা পরিস্কার করতে গিয়ে কিছু মার্কিন ডলার পেয়েছেন বলে স্থানীয় এক প্রমোটারকে একটি ২০ ডলারের নোট দেখান এক মহিলা সাফাইকর্মী। তাঁর সঙ্গে দুজন পুরুষ সঙ্গীও ছিলেন। সেটা বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় কেন্দ্রে নিয়ে গিয়ে যাচাইও করেন ওই প্রমোটার। নোটটি আসল ছিল। এরপর ২০টি নোটের বিনিময়ে তাঁর থেকে ১ লক্ষ টাকা দাবি করেন ওই মহিলা সাফাইকর্মী। তিনি ৯৮ হাজার টাকা দিয়ে বাকি নোটের বান্ডিল নিজে নিয়ে নেন। কিন্তু সেটি খুলে দেখেন ওই ডলারের বান্ডিলে শুধুই কাগজ ভরা। এমনিই অভিনব প্রতারণার শিকার হলেন এক প্রমোটার। ঘটনাটি কর্ণাটকের যশবন্তপুরের।
পরে ওই প্রমোটার যশবন্তপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ওই প্রমোটারের নাম রবি কুমার, বাড়ি হুবলির কেম্পাপুরা এলাকায়। তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন, রাস্তায় মার্কিন ডলারের বান্ডিল কুড়িয়ে পেয়েছেন বলে স্থানীয় এক মহিলা সাফাইকর্মী তাঁর কাছে সাহায্য চাইতে আসেন। একটি ২০ ডলারের নোটও দেখান আসল কিনা যাচাই করার জন্য। সেটি আসল ছিল। পরে ওই সাফাইকর্মী বলেন এ রকম ৮০০টি নোট তিনি কুড়িয়ে পেয়েছেন এবং প্রমাণস্বরূপ ২০টি নোট দেখান। পরে সবকটি নোটের বদলে ১ লক্ষ টাকা দাবি করেন ওই মহিলা সাফাইকর্মী। তিনি রাজিও হয়ে যান টাকা দিতে। সেইমতো ৯৮ হাজার টাকা দিয়ে ওই ডলারের বান্ডিল নিয়ে নেন। কিন্তু তাড়াহুড়োয় সেটি খুলে দেখেননি। একটি কাপড়ে মোড়া ছিল বান্ডিলটি। পরে বাড়ি ফিরে সেটি খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায় রবি কুমারের। ভিতরে শুধুই কাগজে ঠাসা, কোনও মার্কিন ডলার নেই। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে যশবন্তপুর থানার পুলিশ। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে কাউকে গ্রেফতার বা আটক করা যায়নি এখনও পর্যন্ত।