নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: এক উচ্চপদস্থ আমলা তাঁর পোষা কুকুর নিয়ে স্টেডিয়ামে আসবেন। এখানে তিনি তাঁর প্রিয় সারমেয়কে নিয়ে হাঁটাহাঁটি করবেন। তাই, স্টেডিয়ামের ভিতরে থাকা অ্যাথলিটদের তল্পিতল্পা গুটিয়ে চলে যেতে বলা হল। দিল্লি স্টেডিয়ামে গত কয়েক মাস ধরে এটাই হয়ে আসছে। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম এই খবর দিয়েছে।
তাদের প্রতিবেদন অনুসারে, দিল্লি থ্যাগরাজ স্টেডিয়ামে সকালে ও বিকেলে অ্যাথলিটরা অনুশীলন করেন। বিগত কিছু মাস ধরে সূর্য ডুবলেই নিরাপত্তাকর্মীরা বাঁশি বাজাতে শুরু করে স্টেডিয়ান দ্রুত খালি করার নির্দেশ দেয়। আগে সন্ধ্যা আটটা-সাড়ে আটটা পর্যন্ত অ্যাথলিটরা স্টেডিয়ামে থাকতে পারতেন। এবার সাতটা বাজলেই হ্যামলিনের বাঁশিওয়ালার মতো স্টেডিয়ামের নিরাপত্তাকর্মীরা বাঁশি বাজাতে শুরু করেন।
এক অ্যাথলিটের প্রশিক্ষক জানিয়েছেন, ‘আগে রাত আটটা-সাড়ে আটটা পর্যন্ত আমরা স্টেডিয়ামে থাকতে পারতাম। এখন সন্ধ্যা সাড়ে ছটা বাজতেই স্টেডিয়ামের নিরাপত্তকর্মীর বাঁশি বাজিয়ে আমাদের চলে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। এতটাই অসুবিধের মধ্যে প্রতিদিন পড়তে হচ্ছে তা বলার নয়।’
ফি সন্ধ্যায় কে আসেন দিল্লির থ্যাগরাজ স্টেডিয়ামে? এই স্টেডিয়ামে প্রতি সন্ধ্যায় আসেন দিল্লির প্রিন্সিপ্যাল সেক্রেটারি (রাজস্ব) সঞ্জীব কুমার এবং তাঁর প্রিয় সারমেয়। তিনি যাতে নিশ্চিন্তে মাঠে পায়চারি করতে পারেন এবং তাঁর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অ্যাথলিটদের অবিলম্বে স্টেডিয়াম খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়। দিল্লির প্রিন্সিপ্যাল সেক্রেটারির সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেন। যদিও ওই সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধি একদিন স্টেডিয়ামে গিয়ে দেখেন অভিযোগ ষোলো আনার ওপর আঠারো আনা খাঁটি।
আরও পড়ুন ঘরের মাল হাতিয়ে টিভি স্ক্রিনে রসিক চোর লিখে গেল ‘আই লাভ ইউ’