নিজস্ব প্রতিনিধি: জন্মের সময়েই চিকিৎসকরা বাবা-মাকে জানিয়েছিলেন, তাঁদের সদ্যোজাত সন্তান দুরারোগ্য কিডনি রোগ সঙ্গে নিয়েই পৃথিবীর আলো দেখেছে। বড়জোড় ১২ বছর বেঁচে থাকতে পারে বলে ভবিষ্যদ্বাণীও করেছিলেন। কিন্তু সেই ভবিষ্যদ্বাণী মিথ্যে করে ২৪ বছরে পা দিয়েছে সেদিনের সেই মৃত্যুর পরোয়ানা নিয়ে জন্মানো শিশু। শুধু তাই নয়, শারীরিক সমস্যার সঙ্গে রীতিমতো লড়াই চালিয়ে আজ গোটা ক্রিকেট বিশ্বে পরিচিত মুখ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি আর কেউ নন। বিশ্বকাপজয়ী অস্ট্রেলিয়া দলের অন্যতম সদস্য ক্যামেরন গ্রিন। বৃহস্পতিবার নিজেই এক অস্ট্রেলিয় বৈদ্যুতিন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস করেছেন।
এদিন থেকেই পার্থে শুরু হয়েছে অস্ট্রেলিয়া-পাকিস্তান প্রথম টেস্ট। যদিও প্রথম টেস্টে জায়গা হয়নি গ্রিনের। তাঁর পরিবর্তে দলে নেওয়া হয়েছে মিচেল মার্শকে। তবে ঘরের মাটিতে দলে জায়গা না পেয়ে কোনও আপশোষ নেই গ্রিনের। তাই পার্থ টেস্টের প্রথম দিনেই নিজের জীবনের অজানা গল্প প্রথমবার প্রকাশ্যে এনেছেন ২৪ বছর বয়সী তরুণ ক্রিকেটার। কেন এতদিন গোপন রাখার পরে নিজের জীবনের সবচেয়ে কঠিন লড়াইয়ের কথা প্রকাশ্যে আনলেন তার কারণ জানাতে গিয়ে গ্রিন বলেছেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, আমার লড়াকু জীবনের গল্প অন্যদের অনুপ্রেরণা জোগাবে।’
অস্ট্রেলিয়া দলে লাজুক ও চাপা স্বভাবের ক্রিকেটার হিসাবেই পরিচিত গ্রিন। সেই তিনিই দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, ‘জন্মের সময় তাঁর মা–বাবাকে জানানো হয়েছিল, সদ্যোজাত সন্তানের দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগ রয়েছে। বর্তমানে রোগের দ্বিতীয় পর্যায়ে রয়েছেন। কিডনি নষ্ট হতে থাকলে কখনও সারে না, তা জেনেই লড়াই থামাতে চান না ২৪ বছর বয়সী ক্রিকেটার। খেলতে নামলে এখনও মাঝে-মধ্যে অনুভব করেন, শরীর ধকল নিতে পারছে না। ক্লান্তি নেমে আসে। কিন্তু তা পাত্তা না দিয়েই লড়াই চালিয়ে যান। কখনও ব্যাট হাতে আবার কখনও বল হাতে দলকে জেতানোর জন্য নিজের জীবনের সেরাটা উজাড় করে দিতে চান।’