নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস শুধু অসংখ্য মানুষের প্রাণই কাড়েনি, দেড় কোটির বেশি মানুষকে কার্যত রাস্তায় বসিয়েছে। টানা আড়াই বছর ধরে প্রাণঘাতী ভাইরাসের নজিরবিহীন তাণ্ডবে প্রায় ৯ শতাংশ মানুষ নতুন করে দরিদ্র হয়েছে। অর্থাৎ দেড় কোটির বেশি মানুষ দারিদ্র্য সীমার নিচে নেমেছেন। আজ বুধবার এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য জানিয়েছে সরকারি উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বিআইডিএস।
সম্প্রতি বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রকাশিত রিপোর্টে জানানো হয়েছে, দেশে দারিদ্র্যের হার ১৮ দশমিক ৭ শতাংশ। করোনা মহামারীর প্রকোপ শুরু হওয়ার পরে দারিদ্র্যের হার বেড়েছে। এদিন বিআইডিএসের মহাপরিচালক বিনায়ক সেন জানান, দেশে বর্তমানে যে ১৮ দশমিক ৭ শতাংশ দরিদ্র মানুষ রয়েছেন তার অর্ধেক বা ৯ শতাংশের মতো নতুন করে দরিদ্র শ্রেণিভুক্ত হয়েছেন। আগে তারা নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণিভুক্ত ছিলেন। করোনাভাইরাস মহামারী থাবা না বসালে দারিদ্র্যের হার ১০ শতাংশের কাছাকাছি থাকত।
সংস্থার সমীক্ষায় উঠে এসেছে, চরম দরিদ্র পরিবারের ২৩ দশমিক ৫ শতাংশই মহামারীর প্রকোপ চলাকালীন তাদের সন্তানদের শিক্ষা বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছেন। গ্রামের চেয়েও শহরের দরিদ্র শ্রেণি বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। করোনার প্রকোপের কারণে যে সমস্ত শিশুর স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়েছে তাদের ফের ক্লাসমুখী করতে বিশেষ শিক্ষা পুনরুদ্ধার কর্মসূচি চালু করার পরামর্শও দিয়েছেন বিআইডিএসের মহাপরিচালক।