নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: রাহুল গান্ধির নির্বাচনে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে তিন বছরের নিষেধাজ্ঞা জারি করল নির্বাচন কমিশন। গত ২৯ মার্চ ১৯৫১ সালের জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ১০এ ধারা অনুযায়ী তাঁর বিরুদ্ধে ওই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আগামী বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ওই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে। যার ফলে আগামী বছর দেশের সাধারণ নির্বাচনে অর্থাৎ লোকসভা ভোটে লড়া হচ্ছে না রাহুল গান্ধির।
তবে যে রাহুল গান্ধির ওপরে নির্বাচন কমিশন নিষেধাজ্ঞার খাঁড়া নামিয়ে এনেছেন তিনি প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি নন। সুরাত আদালতের রায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়ে দুই বছরের জেলের সাজা হয়নি। এমনকী লোকসভা থেকে তাঁর সদ্যপদও খারিজ হয়নি। পাঠকদের মনে প্রশ্নই জাগতে পারে তাহলে কোন রাহুল গান্ধির বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিল নির্বাচন কমিশন? তাঁর অপরাধ-ই বা কী?
নির্বাচন কমিশনের শাস্তির খাঁড়া যার বিরুদ্ধে নেমে এসেছে তাঁর পুরো নাম রাহুল গান্ধি কে ই। বাবার নাম ভালসাম্মা। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধির বিরুদ্ধে কেরলের ওয়ানাড লোকসভা আসনে নির্দল প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছিলেন। মূলত রাজীব তনয়ের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে ভোট কেটে প্রতিপক্ষ শিবিরকে সুবিধা করে দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সফল হননি। মাত্র ২ হাজার ১৯৬টি ভোট পেয়েছিলেন। জামানত হারাতে হয়েছিল। নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে যাওয়া সত্বেও ভোটের সময়ে খরচের হিসেব জমা দেননি তিনি। ১৯৫১ সালের জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ১০এ ধারা অনুযায়ী, নির্বাচনী খরচের হিসেবে না দিলে সংশ্লিষ্ট প্রার্থী তিন বছরের জন্য ভোটে লড়ার অধিকার হারান। এই ধারা অনুযায়ী কেরলের রাহুল গান্ধির ভোটে লড়ার অধিকার কেড়েছে নির্বাচন কমিশন। গত ২৯ মার্চ এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের পরেই রাজধানীর অন্দরমহলে কানাঘুষো শুরু হয়েছে, সত্যিই রাহুল গান্ধি নামের ব্যক্তিদের সময় ভালো যাচ্ছে না।