28ºc, Haze
Monday, 27th March, 2023 10:21 am
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: দেশের আর্থিক হাল এতটাই বেহাল যে মরেও শান্তি নেই সাধারণ মানুষের। কেননা মাটির নিচে চিরনিদ্রায় শায়িত হওয়ার পরে ২৫ বছর সেই কবর সংরক্ষণের জন্য মৃতের পরিবারকে খরচ করতে হবে দেড় কোটি টাকা। এমনই অমানবিক ‘ফেলো কড়ি মাখো তেল’ সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা উত্তর নগর নিগম (সিটি করপোরেশন) কর্তৃপক্ষ। আর ওই রক্তচোষা নীতির বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। নিগম কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, কবর সংরক্ষণে নিরুৎসাহিত করতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ঢাকা উত্তর নগর নিগমের অধীনে ছয়টি কবরস্থান রয়েছে। এতদিন ১০, ১৫, ২০ ও ২৫ বছর পর্যন্ত প্রিযজনের কবর সংরক্ষণ করতে পারতেন পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু গত ১৮ জানুয়ারি কবর সংরক্ষণ নীতিমালায় পরিবর্তন এনেছে নগর নিগম কর্তৃপক্ষ। নয়া নিয়ম অনুযায়ী, বর্তমানে শুধুমাত্র ১৫ ও ২৫ বছরের জন্য কবর সংরক্ষণ করা যাবে। বনানী কবরস্থানে আগে ১৫ বছর কবর সংরক্ষণের জন্য গুনতে হতো ২৪ লক্ষ টাকা। তা এক ধাক্কায় বাড়িয়ে করা হয়েছে এক কোটি টাকা। ২৫ বছরের জন্য আগে ফি দিতে হতো ৪৫ লক্ষ টাকা। তা বাড়িয়ে করা হয়েছে দেড় কোটি টাকা।
উত্তরার চার নম্বর সেক্টরের কবরস্থানে আগে ১৫ বছর কবর সংরক্ষণের জন্য দিতে হতো ছয় লক্ষ টাকা। এক ধাক্কায় তা সাড়ে বারো গুণ বাড়িয়ে করা হয়েছে ৭৫ লক্ষ টাকা। ২৫ বছর কবর সংরক্ষণের ফি ১১ লক্ষ থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে এক কোটি টাকা। মিরপুর কবরস্থানে আগে ১৫ বছর কবর সংরক্ষণের ফি ছিল ৬ লক্ষ টাকা। তা বাড়িয়ে করা হয়েছে ২০ লক্ষ টাকা। আচমকাই কবর সংরক্ষণের ফি এক ধাক্কায় এতটা বাড়ানোর ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে ঢাকা উত্তর নগর নিগমের সিইও সেলিম রেজা বলেছেন, ‘গুলশান, বারিধারা ও বনানী এলাকায় ধনীদের বসবাস। তাদের পরিবারের কেউ মারা গেলে তারা সবার কবরই সংরক্ষণ করতে চায়। সংরক্ষণকে নিরুৎসাহিত করতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’