নিজস্ব প্রতিনিধি : পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় স্ত্রীর। স্ত্রীর মৃত্যুর পর সেই শোক নিতে পারেননি স্বামী। পরদিনই আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন তিনি। রেখে গেলেন সুইসাইড নোট। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের হারদোইতে। পুলিশ গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।
জানা গিয়েছে. ছয় মাস আগে হারদোইয়ের বাসিন্দা যোগেশ কুমারের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল মণিকর্নিকা কুমারীর। গত সোমবার সারসা থানা এলাকায় লখনউ-হারদোই হাইওয়েতে পথ দুর্ঘটনা হয় মণিকর্নিকা কুমারীর। সারসা থানার তদন্তকারী আধিকারিক জানান, মণিকর্নিকা তাদিয়াওয়ানা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে বাইকে করে আসছিলেন। তখনই একটি গাড়ি মণিকর্নিকার বাইককে ধাক্কা মারে। এরফলে মৃত্যু হয় ২৮ বছর বয়সি নার্সের।
স্ত্রীর এই আচমকা চলে যাওয়াকে মেনে নিতে পারেননি তাঁর স্বামী যোগেশ কুমার। জানা যায়, স্ত্রীর অন্ত্যোষ্ঠিক্রিয়া সম্পন্ন করার পর যোগেশ নিজের বাড়িতে চলে আসেন। এরপর স্থানীয় বাসিন্দারা আর তাঁকে বেরোতে দেখেননি। গত মঙ্গলবার প্রতিবেশিরা ষোগেশের বাড়ির সামনে এসে ডাকাডাকি শুরু করে দেন। কিন্তু কোনও সাড়াশব্দ আসেনি। শেষপর্যন্ত প্রতিবেশিরা ঘরের দরজা ভেঙে ঢুকে দেখতে পান, যোগেশের দেহ সিলিংয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে। দেহের কাছ থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করা হয়েছে। সেই নোটে লেখা রয়েছে, ‘আমরা দুজনে একসঙ্গে বেঁচেছি। মরতে হলে একসঙ্গে মরব।‘ পুলিশ ইতিমধ্যে যোগেশের মৃতদেহকে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠাচ্ছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে মৃত্যুর আসল কারণ কী, সেবিষয়ে নিশ্চিত হতে পারবে পুলিশ।