নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয় মাথায় রেখে ২৯ সপ্তাহের সন্তানসম্ভবা এক বিধবাকে গর্ভপাতের অনুমতি দিল দিল্লি হাইকোর্ট। শুক্রবার হাইকোর্টের বিচারপতি সুব্রহ্মনিয়ম প্রসাদ নির্ধারিত সময়সীমা পার হয়ে যাওয়ার পরেই মানবিক কারণেই গর্ভপাতের অনুমতি দিয়েছেন। দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্সেসকে ওই মহিলার গর্ভপাতের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন।
গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসেই বিয়ে হয়েছিল আবেদনকারী ভদ্রমহিলার। কিন্তু বিয়ের মাত্র কয়েক মাস যেতে না যেতেই গত বছরের ১৯ অক্টোবর স্বামীকে হারান তিনি। স্বামীর পারলৌকিক কাজকর্ম সেরে গত ৩১ অক্টোবর বাপের বাড়িতে আসেন তিনি। আর তার পরেই সন্তানসম্ভবা হওয়ার বিষয়টি জানতে পারেন। অনাগত সন্তানের ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে বেশ কয়েক বার আত্মহত্যার চেষ্টা চালান। মহিলার বাপের বাড়ির লোকজন একাধিকবার গর্ভপাতের অনুমতি পাওয়ার জন্য বিভিন্ন হাসপাতালে দৌড়ে বেড়িয়েছিলেন। যদিও কোনও লাভ হয়নি।
গত বছরের অক্টোবর মাসেই সুপ্রিম কোর্ট ২৬ সপ্তাহের সন্তানসম্ভবা এক মহিলার গর্ভপাতের আর্জি খারিজ করে দিয়েছিল। সেই সঙ্গে জানিয়ে দিয়েছিল, ২৪ সপ্তাহ পেরনোর পরে কাউকে গর্ভপাতের অনুমতি দেওয়া হবে না। যদিও এদিন দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি সুব্রহ্মনিয়ম প্রসাদ জানিয়েছেন, ‘মহিলার মানসিক স্বাস্থ্যের কথা ভেবেই গর্ভপাতের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। পৃথিবীতে কাকে আনবেন আর কাকে আনবেন না তা নিয়ে সেই অধিকার অবশ্যই প্রসূতির।’