এই মুহূর্তে




ডানে নয়, দুর্গার বাঁ দিকে গণেশ! ৯৯ বছরের পুরনো সাহা বাড়ির পুজো

courtesy google




নিজস্ব প্রতিনিধি : পুজোর গন্ধে আকাশ বাতাস ভরে উঠছে। অবশেষ আসছে উমা। মায়ের আগমনীতে আনন্দে ভাসছে বাঙালি। বছরের পর বছর ধরে চলে আসছে বনেদি বাড়ির পুজো। বিভিন্ন বনেদি বাড়ির সাবেক পুজো ছাড়া কলকাতার দুর্গাপুজোর ইতিহাস অসম্পূর্ণ।একশো, দেড়শো, দুশো, কোথাও কোথাও আড়াইশো, এমনকী তিনশো বছরের পুরনো এই সব পুজো যেন এক একটা ইতিহাস। যুগ যুগ ধরে বংশ পরম্পরায় যা চলে আসছে আজও। তেমনই বনেদি বাড়ির পুজোর মধ্যে অন্যতম হল অশোকনগরের সাহা বাড়ির পুজো। চলতি বছর এই পুজো ৯৯ তম বর্ষে পা দিয়েছে।

অশোকনগর স্পোর্টিং ইউনিয়ন কালোবাড়ি এলাকায় সাহা বাড়িতেই প্রত্যেক বছর মায়ের পুজো হয়। তবে অতীতে বাংলাদেশে প্রথম সূচনা হয়েছিল। বাংলাদেশে জাঁকজমকভাবেই শুরু হয়েছিল সাহাবাড়ির ঐতিহ্যবাহী এই পুজো। তবে দেশভাগের পর পরিবারের সদস্যরা এপার বাংলায় চলে আসেন। তবে পুজো বন্ধ হয় নি। ওই পূজোর স্থানের মাটি নিয়ে এসেছিলেন সঙ্গে করে। সেই মাটি রেখেই মন্দির স্থাপন করে চালু হয় দুর্গাপুজো।

তবে এই বাড়ির দুর্গা পুজো কিছুটা অদ্ভূত লাগতে পারে। কিন্তু এটাই এই বাড়ির রীতি। তা হল দুর্গার ডানদিকে নয় বাঁ দিকে রয়েছে গণেশ।পরিবারের সদস্যদের মতে,খুব অল্প বয়সেই (বারো-তেরো বছর ) প্রতিমা তৈরি শুরু করেছিলেন সত্যেন্দ্রনাথ। এক চালা কাঠামোয় দুর্গা, সরস্বতী, লক্ষ্মী, গণেশ, কার্তিক, মহিষাসুর সবই গড়েন। কিন্তু প্রতিমা তৈরি করতে গিয়ে একটু ভুল করে ফেলেছিলেন। ডান দিকের পরিবর্তে দুর্গার বাঁ দিকে রেখেছিলেন গণেশকে। কার্তিক’কে রেখেছিলেন ডান দিকে। বাংলাদেশের পাবনা জেলার নাটাবেড়িয়া গ্রামে সত্যেন্দ্রনাথের তৈরি সেই প্রতিমাই পরিবারের সদস্যেরা পুরোহিত ডেকে নিয়ম করে পুজো করাতেন। পুরোহিতের নির্দেশেই সেই গণেশ-কার্তিকের অবস্থান ও পরিবর্তন করা হয়নি। ১৯২৩ সাল থেকে এই পুজো এভাবেই হয়ে আসছে। প্রায় ৯৮ বছর ধরে দুর্গাপুজো হয়ে আসছে সাহা পরিবারে।

তবে এই দুর্গাপুজোয় পুরোটাই হয় কৃষ্ণ মতে। সাহা বাড়িতে প্রতিমা দেখতে বহু মানুষ ভিড় করে। পুজোর প্রসাদ হিসেবে লুচি পায়েস খাওয়ানো হয় আগত ভক্তদের। তবে প্রসাদের পাশাপাশি খাওয়ারও আলাদা বন্দোবস্ত থাকে। এই কাজে হাত লাগান বাড়ির মহিলারাই।

তবে সত্যেন্দ্রনাথের মৃত্যুর পরে দীর্ঘ বছর ধরে পরিবারের অন্যান্যদের সঙ্গে নিয়ে পুজো সামলাতেন তাঁর ছেলে শিরিশকুমার সাহা। ২০১৫ সালে তিনি মারা যাওয়ার পরে ছেলে বিশ্বেশ্বর পুজোর দায়িত্ব সামলে আসছেন। তিনি একজন পেশায় শিক্ষক। এই নিয়ে ছেলে বিশ্বেশ্বর জানান, একটা সময়ে ঘোড়ার গাড়ি করে প্রতিমা দশমীর দিন বিভিন্ন জায়গায় ঘুরিয়ে তবে বিসর্জন দেওয়া হত। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এখন অবশ্য তা হয়ে ওঠে না। তবে প্রতি বছর প্রতিমা দর্শন করতে বহু মানুষ এখানে ভিড় জমায়।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

বান্ধবীকে ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার জন্য গাড়ি চুরি করে শ্রীঘরে ঠাঁই তিন কলেজ পড়ুয়ার

ঢাকার গোপীবাগের রামকৃষ্ণ মিশনে নির্বিঘ্নে সম্পন্ন কুমারী পুজো

মৃত্যুর শংসাপত্র লিখতে ৪০ হাজার ঘুষ দাবি চিকি‍ৎসকের! প্রতিবাদে রাস্তায় বিজেপি বিধায়ক

স্ত্রীর কাছে স্বামীর যৌন সুবিধা চাওয়া নিষ্ঠুরতা নয়, জানিয়ে দিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট

পুজোর মণ্ডপে জুতো পরে ঘুরে বেড়াচ্ছে অতিথিরা, দেখামাত্রই ধমক কাজলের

শান্তিতে নোবেল পেল জাপানের পরমাণু অস্ত্রবিরোধী সংগঠন

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর