এই মুহূর্তে




Durga Puja : কেন দেবী দুর্গা সৃষ্টি করেছিলেন কালী কে ?




পৃথ্বীজিৎ চট্টোপাধ্যায় :  জয়ন্তী মঙ্গলা কালী ভদ্রকালী কপালিনী

                                 দুর্গা শিবা ক্ষমা ধাত্রী স্বাহা স্বধা নমোহস্তু তে।।

 

দেবী দুর্গার অন্যতম রূপ কালী। তিনি পরমা প্রকৃতি পরম আরাধ্যা আদ্যাশক্তি মহামায়া। দেবী কালীকে মৃত্যু, সময় ও পরিবর্তনের কর্ত্রী বলে মনে করা হয়। তন্ত্র অনুসারে কালী দশমহাবিদ্যার প্রথম দেবী। মহাভাগবতের মতে মহাকালীই হলেন মুখ্য এবং তাঁর উগ্র ও সৌম্য উভয় রূপই বর্তমান। শ্রী শ্রী চণ্ডী অনুসারে একদা শুম্ভ ও নিশুম্ভের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে দেবতারা হিমালয়ে গিয়ে ‘দেবীসূক্ত’ দিয়ে দেবী বন্দনা করলে তখন গৌরীর দেহ থেকে কৌশিকী আবির্ভুতা হন। জানা যায়, কৌশিকী গৌরীদেহ থেকে আলাদা হওয়া মাত্র অম্বা কৃষ্ণবর্ণা হয়ে যান। তখনই তাঁর নাম হয় কালী বা কালিকা। কিংবদন্তি আছে, ভগবান মহাদেবের তৃতীয় নয়ন থেকে রাক্ষসদের ধ্বংস করার জন্য কালী আবির্ভূতা হয়েছিলেন, তাই  তাঁকে মহাকালপত্নী মহাকালী বলা হয়।

ওঁ করালবদনাং ঘোরাং মুক্তকেশীং চতুর্ভুজাং

কালিকাং দক্ষিণাং দিব্যাং মুণ্ডমালা বিভূষিতাম্ ।।

সদ্যশ্ছিন্ন শিরঃ খড়্গ বামাধোর্দ্ধ করাম্বুজাম্

অভয়ং বরদঞ্চৈব দক্ষিণোর্দ্ধাধ পাণিকাং ।।

পৌরাণিক কাহিনীতে বর্ণিত তথ্যানুসারে দেবী কালীর বর্ন গাঢ় নীল। তাঁর চোখ নিমজ্জিত এবং পরনে বাঘের চামড়ার এবং গলায় মুণ্ডমালা। দেবী ভাগবতপুরাণ অনুযায়ী কালীই ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশ্বর। মহাদেবের মতই তিনিও আদি, তিনিই অন্ত। ঋগ্বেদে উল্লেখ রয়েছে আদি পরাশক্তি তথা কালীই পরমব্রহ্ম। তিনি শক্তির চূড়ান্ত প্রকাশ এবং সমস্ত জীবের জননী। তিনি মহাবিশ্বের আদি জননী, তাঁকে আদিশক্তি বা পার্বতী হিসাবে পূজা করা হয়। শাক্ত ও তান্ত্রিক সম্প্রদায়রাও তাঁকে চূড়ান্ত বাস্তবতা বা পরমব্রহ্ম হিসেবে পূজা করে।

পৌরাণিক কাহিনি অনুযায়ী, একদা গোটা বিশ্বের ত্রাস ছিল অসুররা। এমনকী, দেবতাদেরকেও তারা স্বর্গ থেকে তাড়িয়ে দেয়। অসুরদের থেকে বাঁচতে এরপর দেবতারা ব্রহ্মা বিষ্ণু মহেশ্বরের শরণাপন্ন হলে তাঁরা তাঁদের তেজ থেকে সৃষ্টি করেন দেবী পার্বতীর দুর্গা রূপকে। সেসময়  অসুরদের রাজা ছিল মহা বলশালী মহিষাসুর। তাঁর সেনাপতি ছিল শুম্ভ ও নিশুম্ভ। দেবী দুর্গা শুম্ভ নিশুম্ভকে বধ করার পর আরেক প্রবল পরাক্রমশালী সেনাপতি রক্তবীজের উদ্ভব হয়। তার নাম থেকেই বোধগম্য হয় তার প্রকৃতি। রক্তবীজ দৈত্যের রক্তেই ছিল অসুর সৃষ্টির বীজ অর্থাৎ, তার দেহ থেকে মাটিতে যত ফোঁটা রক্ত পড়বে, ততগুলিই নতুন অসুর জন্ম নিয়ে দুর্গার বিরুদ্ধে লড়াই করবে। তাই তখন দেবী দুর্গা নিজের প্রবল তেজ থেকে সৃষ্টি করেন দেবী কালীকে।

দেবী কালী রক্তবীজকে নিধন করে তার রক্ত পান করা শুরু করেন। রক্তবীজের রক্ত যাতে মাটিতে না-পরে, তা তিনি নিশ্চিত করার জন্য  রক্তবীজকে দেবী শূন্যে তুলে নেন আর, তার শরীর থেকে বের হওয়া সমস্ত রক্ত মাটিতে পড়ার আগেই তা পান করেন দেবী কালী। ফলে নতুন অসুরের সৃষ্টি বন্ধ হয়ে যায়। এরপরে বাদবাকি সব অসুরদের নিধন করেন দেবী দুর্গা।

রক্তবীজবধে দেবি চণ্ড-মুণ্ড-বিনাশিনি

রূপং দেহি জয়ং দেহি যশো দেহি দ্বিষো জহি।।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

বান্ধবীকে ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার জন্য গাড়ি চুরি করে শ্রীঘরে ঠাঁই তিন কলেজ পড়ুয়ার

মৃত্যুর শংসাপত্র লিখতে ৪০ হাজার ঘুষ দাবি চিকি‍ৎসকের! প্রতিবাদে রাস্তায় বিজেপি বিধায়ক

স্ত্রীর কাছে স্বামীর যৌন সুবিধা চাওয়া নিষ্ঠুরতা নয়, জানিয়ে দিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট

শান্তিতে নোবেল পেল জাপানের পরমাণু অস্ত্রবিরোধী সংগঠন

একেই বলে ভাগ্য! জন্মদিনের আগেই লটারিতে জিতলেন আড়াই কোটি

LIVE

পছন্দের পোশাক না পরায় মহিলা সহকর্মীকে অ্যাসিড মারার হুমকি বেঙ্গালুরুর ব্যক্তির

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ