নিজস্ব প্রতিনিধি: সমস্ত বিভেদ ভুলে এবার চার্চে প্রবেশের অনুমতি মিলল সমকামীদের। রবিবারই পোপ ফ্রান্সিস সেকথা জানিয়েছেন। অবাধে ক্যাথলিক চার্চে তাঁরা প্রবেশ করতে পারবেন। শুধু তাইই নয়, এবার কঠোর নিয়মের বেড়াজাল ভেঙে আধ্যাত্মিক ও ব্যক্তিগত কাজে তাঁরা অংশগ্রহণ করতে পারবেন এই চার্চে।
এর আগে পোপ ফ্রান্সিস কঠোর নিয়মনীতি মেনে চলতেন। পর্তুগালে বিশ্ব যুব দিবসের ক্যাথলিক উত্সবে যোগ দিতে গিয়েছিলেন তিনি। ফিরে এসে তিনি একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন।
সেই সাংবাদিক সম্মেলনে চার্চের নিয়মনীতির প্রসঙ্গ উঠে আসে পোপের গলায়। তিনি স্পষ্ট উল্লেখ করেছিলেন, ধর্মীয় অনুষ্ঠানে মহিলা পুরোহিতদের স্থান নেই। এমনকি সমকামী দম্পতিদের বিবাহেরও কোন অনুমতি নেই।
পোপ ফ্রান্সিস দাবি করেছেন, এর মানে এই নয় যে, আইনত মহিলা পুরোহিত বা সমকামী দম্পতিরা ধর্মানুষ্ঠানে অংশ নিতে পারেন না। প্রত্যেক ব্যক্তিই অবাধে চার্চে প্রবেশ করতে পারেন। তিনি আরও জানান, চার্চ শিক্ষা দেয় মহিলারা যাজক হতে পারেন না। কারণ, যীশু শুধুমাত্র পুরুষদেরকে তাঁর প্রেরিত হিসাবে বেছে নিয়েছিলেন।
চার্চ সমকামী বিবাহ বা এমনকি সমকামী দম্পতিদের জন্য আশীর্বাদেরও অনুমতি দেয় না। তবে ফ্রান্সিস নাগরিক আইন অনুযায়ী, সমকামী দম্পতিদের পেনশন, স্বাস্থ্য বীমা এবং উত্তরাধিকারের অধিকার দেয়।সমলিঙ্গের আকর্ষণ কোনও পাপ নয় ।
ফ্রান্সিস পোপের দায়িত্ব শুরু করা থেকেই LGBT সম্প্রদায়ের সদস্যদের জন্য কম নিন্দা করার চেষ্টা করে চলেছেন। পর্তুগাল ভ্রমণের সময়ই তিনি জানিয়েছিলেন, চার্চে প্রত্যেকের সমান অধিকার রয়েছে।
ফ্রান্সিস পোপ হওয়ার পর থেকে বেশ কয়েকটি কঠোর নিয়মের বিরোধীতা করেন। মহিলাদের যোগ্য সম্মানের বিষয়টির দিকেও নজর দিয়েছেন তিনি। তিনি তাঁর অভিমত উদার বিশ্বাসীদের সামনে তুলে ধরেন।