নিজস্ব প্রতিনিধি, প্রয়াগরাজ: পরিবারের অমতে বিয়ে। বিয়ের পর একাধিকবার স্বামীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার অনুরোধ (not snapping ties) করেছিল বাবা। মেয়ে সেই আর্জি (আর্জির পরিবর্তে নির্দেশ বলাই বাঞ্ছনীয়) মানতে অস্বীকার করলে বাবা শেষ পর্যন্ত মেয়েকে খুন করার সিদ্ধান্ত নেয়। এক লক্ষ টাকা দিয়ে নিয়োগ করে সুপারি কিলারকে (Supari killer)। বাবা, সুপারি কিলার-সহ তিনজনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, গত শুক্রবার নবীন কুমার (Naveen Kumar) তাঁর মেয়েকে কাঙ্করখেড়া হাসপাতালে ভর্তি করেন। ভর্তির সময় তিনি জানান, মেয়ের মনে হয়েছিল সে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত। ভয় পেয়ে ছাদ থেকে লাফ দেয়। ইতোমধ্যে নবীন কুমার (মেয়ের বাবা) এক সুপারি কিলারের সঙ্গে যোগাযোগ করে। জানায়, তাকে কী করতে হবে। এর জন্য নবীন কুমার তাঁকে এক লক্ষ টাকা দোয়।
সুপারি কিলার নবীন কুমারের মেয়ে খুন করতে হাসপাতালে গিয়ে ইঞ্জেকশন ফুটিয়ে আসে। সিরিঞ্জে ছিল পটাসিয়াম ক্লোরাইড। শুক্রবার রাতে ওই তরুণীর আচমকাই শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। রিপোর্টে দেখা যায় শরীরে রয়েছে পটাসিয়াম ক্লোরাইড (potassium chloride)। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোনও কারণে সন্দেহ হওয়ায় তারা নজর ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নেয়। তাতেই ধরা পড়ে যায় তরুণীর আচমকা শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ার কারণ। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করলে পুলিশ নজর ক্যামেরার (CCTV) ফুটেজ দেখে অপরাধীকে চিহ্নিত করে। তাকে জেরা করে বাকিদের গ্রেফতার করে।