নিজস্ব প্রতিনিধিঃ মাত্র দুমাস আগের কথা, মানুষের শরীরে শূকরের হৃৎপিণ্ড প্রতিস্থাপন করে যখন রীতিমতো শোরগোল ফেলে দিয়েছিলেন আমেরিকার মেডিক্যাল সায়েন্সের বেশ কয়েকজন চিকিৎসক। এই অবিশ্বাস্য অস্ত্রপ্রচার সফল হওয়ায় খবর মেলে ধীরে ধীরে সুস্থও হয়ে উঠছেন রোগী। কিন্তু এতটা আশার আলো দেখিয়েও হল না শেষ রক্ষা। যার শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল ওই শূকরের হৃৎপিণ্ড, সেই রোগী ৫৭ বছর বয়সী ডেভিড বেনেট অস্ত্রপ্রচারের প্রায় দুমাস পরে মারা গেলেন।
জানা যাচ্ছে, মঙ্গলবার রাতে ডেভিডের মৃত্যু হয়েছে মেরিল্যান্ড মেডিসিন বিশ্ববিদ্যালয়ে। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিজ্ঞ চিকিৎসকরাই অস্ত্রপ্রচার করেছিলেন ডেভিডের। প্রায় সাড়ে সাত ঘণ্টা ধরে চলে ওই অস্ত্রপ্রচার। অস্ত্রপ্রচারের পরে ধীরে ধীরে সুস্থও হয়ে উঠছিলেন। কিন্তু বেশ কিছুদিন ধরেই পুনরায় তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। এরপরেই মঙ্গলবার রাতে তিনি মারা যা বলে খবর।
উল্লেখ্য, ডেভিড বেনেট নামে এই ব্যক্তির অস্ত্রপ্রচার হয় গত ৯ মার্চ। ডেভিডের হৃৎপিণ্ডে একটি বিরল সমস্যা ছিল। সেই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে একদিকে যেমন তাঁর হার্ট ট্রান্সপ্ল্যান্ট করা সম্ভব ছিল না, তেম অন্যদিকে তাঁর নিজের হৃদপিণ্ডও ধীরে ধীরে কাজ করা বন্ধ করছিল। ের ফলে তাঁর দেহে শূকরের হৃৎপিণ্ড প্রতিস্থাপন করা ছাড়া অন্য কোনও উপায় ছিল না বলে জানান চিকিৎসতসকরা। এই অস্ত্রপ্রচারের পরে ধীরে ধীরে সুস্থও হয়ে উঠছিলেন ডেভিড। কিন্তু শেষপর্যন্ত চিকিৎসকদের সমস্ত চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।
ডেভিডের মৃত্যু প্রসঙ্গে মেরিল্যান্ড হাসপাতালের তরফ থেকে বলা হয়েছে, ‘আমরা আমাদের প্রতিটি উদ্ভাবনী মুহূর্ত, প্রতিটি পাগল স্বপ্ন, প্রতিটি নিদ্রাহীন রাতের জন্য কৃতজ্ঞ যা এই ঐতিহাসিক গবেষণার কাজে আমরা ব্যবহার করেছিলাম।’ অন্যদিকে ডেভিডের ছেলে এই ঘটনা প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘আমি কৃতজ্ঞ আমার বাবাকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য যা যা চেষ্টা করার দরকার সেই সবকিছু হাসপাতালের তরফ থেকে করা হয়েছে।’