নিজস্ব প্রতিনিধি, পুণে: আলফানসো আমের কথা শোনার সঙ্গে সঙ্গে আম রসিকদের জিভে জল এসে যায়। যদিও দাম সাধ্যের বাইরে থাকায় সাধারণ মধ্যবিত্তের পক্ষে আলফানসো আমের স্বাদ থেকে বঞ্চিত থেকে যাচ্ছেন অনেকেই। এবার তাঁদের আপশোষ ঘুচতে চলেছে। কেননা, আলফানসো আম কিনতে এবার গ্যাঁট থেকে একসঙ্গে আর গাদাগুচ্ছের টাকা খসাতে হবে না। মাসিক কিস্তিতে অর্থাৎ ইএমআই-তেই কেনা যাবে ওই আম। কেনা আমের দাম মেটানো যাবে নিজের সুবিধামতো। তিন, ছয় ও বারো মাসের কিস্তিতে মেটানো যাবে দাম।
গল্প নয়। সত্যি। আম রসিকদের আলফানসো আমের স্বাদ নেওয়ার জন্য এমনই সুবর্ণ সুযোগ করে দিচ্ছেন মহারাষ্ট্রের পুণের ফল ব্যবসায়ী গৌরব সানাস। গুরু কৃপা ট্রেডার্স অ্যান্ড ফ্রুট প্রডাক্টস নামে একটি ফল ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান চালান তিনি। চলতি বছরেই যাতে আলফানসো (যা স্থানীয়দের কাছে ‘হাপুস’ হিসেবে পরিচিত) আম দেশের সব প্রান্তের ধনী-গরিব নির্বিশেষে সব মানুষের কাছে পৌঁছয় তার জন্যই মাসিক কিস্তিতে আমের দাম মেটানোর মতো অভিনব উদ্যোগ নিয়েছেন। এর জন্য গোটা দেশে বিশেষ শোরুমও খোলার পরিকল্পনা নিয়েছেন তিনি।
মহারাষ্ট্রের দেবগড় ও রত্নগিরিতেই মূলত আলফানসো আমের চাষের হয়। প্রতি ডজন আমের দাম পড়ে ৮০০ থেকে ১৩০০ টাকা। ফলে অনেকেই সাধ থাকলেও সাধ্য না থাকায় ওই মহার্ঘ আম কিনতে পারেন না। তাঁদের ওই দুঃখ ঘোচাতেই ইএমআইতে আম বিক্রির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে জানিয়ে গৌরব বলেছেন, ‘মানুষ যদি ইএমআইতে রেফ্রিজারেটর কিংবা এয়ারকন্ডিশন কিনতে পারেন, তাহলে আম কেন নয়? তাই এই অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে।’ সংস্থার প্রতিটি আউটলেটে আম কেনার জন্য ইএমআইয়ের সুবিধা রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে ইএমআইতে আম কিনতে হলে ক্রেতার ক্রেডিট থাকতে হবে বলে জানিয়ে গৌরব বলেন, ‘সংস্থার আউটলেটে থাকা পয়েন্ট অফ সেল (পিএসও) মেশিনে ওই ক্রেডিট কার্ড দিয়ে প্রথমে আমের দাম মেটাতে হবে। তার পরে ক্রেতা নিজের সুবিধা মতো তিন, ছয় কিংবা বারো মাসের কিস্তিতে ওই দাম মেটানোর অপশন বেছে নিতে পারবেন। তবে ইএমআইয়ের সুবিধা পেতে গেলে অন্তত ৫ হাজার টাকার আম একসঙ্গে কিনতে হবে বলেও জানিয়েছেন গৌরব সানাস।