নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: ঠ্যালার নাম বাবাজি। প্রথমে গা-জোয়ারি দেখে ‘অসুস্থতা’ দেখিয়ে ছুটি নেওয়া ২৫ বিমান কর্মীকে বরখাস্ত করেছিল টাটা গোষ্ঠীর মালিকানাধীন এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস। তাতে ফল হিতে বিপরীত হয়। চটে যান কর্মীরা। আর তার ফলে বেওসা লাটে ওঠার জোগাড় হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত বৃহস্পতিবার বিকেলে বেওসা বাঁচাতে নতজানু হয়ে বরখাস্ত হওয়া কর্মীদের চাকরিতে পুনর্বহাল করল এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের পরিচালন সমিতি। আর সহকর্মীদের চাকরিতে পুনর্বহাল করার পরেই ফের কাজে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাকি কর্মীরা।
গত মঙ্গলবার রাতে একসঙ্গে ‘অসুস্থতা’ দেখিয়ে গণছুটি নিয়েছিলেন টাটা গোষ্ঠীর মালিকানাধীন এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের ৩০০ বিমান কর্মী। আর একসঙ্গে ওই বিশাল সংখ্যক কর্মী ছুটি নেওয়ায় সংস্থার বিমান পরিষেবা কার্যত লাটে উঠে যায়। গত দু’দিনে বিমান কর্মীদের অপ্রতুলতার কারণে ১৭০টি বিমান পরিষেবা বাতিল করতে বাধ্য হয় এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস কর্তৃপক্ষ। আচমকা বিভিন্ন রুটের বিমান পরিষেবা বাতিল হওয়ায় বিপাকে পড়ে যান হাজার-হাজার যাত্রী। এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সংস্থার কর্মীদের সঙ্ঘাতের বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন কেন্দ্রের মুখ্য শ্রম কমিশনার।
গণহারে ছুটি নেওয়া কর্মীদের সবক শেখাতে বুধবারই ২৫ বিমান কর্মীকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেয় এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস কর্তৃপক্ষ। তাতে ফল হিতে বিপরীত হয়। সহকর্মীদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করার খবরে চটে যান সংস্থার বাকি কর্মীরা। ফলে এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের বিমান পরিষেবা মুখ থুবড়ে পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। পরিস্থিতি যাতে হাতের বাইরে না চলে যায় তার জন্য হস্তক্ষেপ করে শ্রম কমিশনারের কার্যালয়। বৃহস্পতিবার বিকেলে এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের ব্যবস্থাপনা সমিতি ও কর্মচারি সমিতির প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠকে বসেন শ্রম কমিশনারের কার্যালয়ের আধিকারিকরা। ওই বৈঠকেই জট কাটে।