নিজস্ব প্রতিনিধিঃ বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে আমাদের জীবন সকলের কাছে একটি খোলা বই। নিজেদের জীবনের সমস্ত কিছুই আমরা তুলে ধরি ফেসবুক , ইন্সটাগ্রামে। সুখ, দুঃখ, ভালো খারাপ সব কিছুই সবাই জানতে পারেন খুব সহজে। শুধু তাই নয় বিশেষ কিছু খাবার খেলে বা কোনও রেস্তোরাঁয় খেতে গেলে আমরা খাবার খাওয়ার আগে খাবারের সাজানো গোছানো ছবি নানা কায়দায় তুলে তা পোস্ট করি সোশ্যাল মিডিয়ায়। কিন্তু জানেন কী এর একাধিক খারাপ প্রভাব পড়ে স্বাস্থ্যের ওপর?
যান্ত্রিকতার যুগে বাড়িতে কোনও খাবার রান্না করে তা আমরা সামাজিক মাধ্যমে তুলে ধরছি বা সপ্তাহান্তে ছুটির দিনে আমি কী খাচ্ছি এসব কিছুই সবার নজরে পড়ার দরুন ব্যাক্তিগত জীবনের স্বাছ্যন্দ্য তো ব্যাহত হয় বটেই। সঙ্গে নানা ফিল্টারের ব্যবহার খাবারকে আরও লোভনীয় করে তোলে দেখতে। আর তা থেকে বেশি পরিমানে খেয়ে নেওয়ার প্রবণতা নাকি তৈরি হয় বলে জানাচ্ছে সমীক্ষা। এর ফলে বেশি মাত্রায় বাইরের খাবার বা বাড়িতে তৈরি মুখরোচক খাবার অত্যধিক পরিমাণে খেয়ে ফেলার প্রবণতা থাকে।
ভাবছেন কীভাবে তা সম্ভব? দেশ বিদেশের নানা অজানা খাবার ফিল্টার ব্যবহারের মাধ্যমে ছবি তুলে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছাড়ার পর তা দেখে এমনিতেই সকলের জিভে জল আসে। এরপর সেই খাবার কাছে পিঠে কোথায় পাওয়া যায় তার সন্ধান করে যাওয়া হয় খেতে। কখনও বা বাড়িতেই তা বানিয়ে ফেলা হয়। আর আগের দেখা ছবি মাথায় থাকেই। এসব মিলিয়েই নাকি অত্যধিক পরিমাণ খাবার খেয়ে ফেলার সম্ভবনা থাকে বলে জানাচ্ছে সমীক্ষা।
এর সঙ্গে তাল মিলিয়ে আসে ওজন বেড়ে যাওয়ার মত সমস্যাও। আমেরিকার জর্জিয়া সাদার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের সমীক্ষা এমন তথ্যই শুধু আনছে না। আরও বলছে যে দীর্ঘক্ষণ খাবার সামনে নিয়ে বসে থাকলে ও ছবি তোলায় ব্যাস্ত থাকলে খিদের পরিমাণ আরও বেড়ে যায় সেক্ষেত্রেও কিন্তু অতিরিক্ত পরিমাণ খেয়ে ফেলার প্রবণতা থাকে। ফলে ওজন বেড়ে যাওয়ার সম্ভবনা একেবারেই ঝেড়ে ফেলে দেওয়া যায়না।