নিজস্ব প্রতিনিধি: নাহ এটা বীরভূম নয়, এটা পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার মাইশোরা অঞ্চলের চকগোপাল গ্রাম। এখানে এলে আপনি ভাবতেই পারেন আপনি বীরভূমের তারাপীঠে পৌঁছে গিয়েছেন। কারণ এই গ্রামেই ৬ একর জমিতে তৈরি হয়েছে রাজ্যের দ্বিতীয় তারাপীঠ মন্দির। যারা দুরুত্বের জন্য বা করোনা সংক্রমণের ভয়ে বীরভূম তারাপীঠ মন্দির যেতে পারছেন না, তাঁরা পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার কাছে এই তারা মায়ের মন্দির দর্শন করে আসুন। অবিকল তারাপীঠ মন্দির তুলে ধরা হয়েছে এখানে। পাশেই গড়ে তোলা হয়েছে বামাখ্যাপার আশ্রম ও একটি বড় শশ্মান। মূল মন্দিরের উচ্চতা ৮০ ফুট। ফলে গর্ভগৃহে মাতৃপ্রতিমা দর্শন করতে হলে আপনাকে ডিঙোতে হবে ৫১ ধাপ সিড়ি। প্রায় ৬ একর জায়গা জুড়ে অবিকল তারাপীঠের আদলেই সাজানো হয়েছে এই মন্দিরটি।
পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর সহ ওড়িশার মানুষজনদের ঘুরপথে যেতে হয় তারাপীঠ। ফলে সেটা সময়সাপেক্ষ। সেই থেকেই এই মন্দির নির্মাণের পরিকল্পনা। মূলত পাঁশকুড়া ও আশেপাশের স্বর্নকাররা নিজেদের উদ্যোগে এবং খরচে এই মন্দিরটি তৈরি করছেন। তাঁদের বক্তব্য, মা তারার চরণে পুজো দিতে আর ছুটতে হবে না তারাপীঠে। এবার চকগোপাল গ্রামের এই মন্দিরে এসেই পুজো দিতে পারবেন এই অঞ্চলের পুণ্যার্থীরা। মন্দিরের প্রধান পুরোহিত জানিয়েছেন, বীরভূমের মা তারা যে উপাচারে পুজো পান, এখানেও সেভাবে পুজো ও ভোগ দেওয়া হয় মায়ের। সমস্ত আচার-রীতি মেনেই হয় পুজো।
মন্দিরটি অবিকল তারাপীঠ মন্দিরের আদলে তৈরি হয়েছে, তাই অনেকেই একে পাঁশকুড়ার তারাপীঠ’ বলে ডাকছেন। কয়েক কোটি টাকা ব্যয়ে মন্দিরটি নির্মাণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যরা। ফলে অচিরেই মন্দিরটি জনপ্রিয়তা পেয়েছে। করোনাকালে গত জানুয়ারি মাসে উদ্বোধন হয়ে গিয়েছে পাঁশকুড়ার তারাপীঠ’ চকগোপাল গ্রামের তারা মায়ের মন্দির। গর্ভগৃহে অধিষ্ঠিত দেবী মুর্তিটিও অবিকল তারাপীঠের মা তারার আদলে। বিশাল মন্দির চত্বর সুন্দর সাজানো গোছানো। ফলে একবার ঘুরে আসতেই পারেন পাঁশকুড়ার তারাপীঠে।