নিজস্ব প্রতিনিধি: তথ্য-প্রযুক্তির যুগে অন্যান্য বাচ্চাদের সঙ্গে যাতে পিছিয়ে না থাকে তার জন্য অনেক অভিভাবকই সন্তানের হাতে তুলে দিয়েছেন স্মার্টফোন। আর অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সেই ফোনই কোমলমতি শিশুদের মানসিকতা বিগড়ে দিচ্ছে। ভুল পথে চালিত করছে। অনেকে তো আত্মহত্যার মতো পথও বেছে নিচ্ছে। আর ওই প্রবণতা দিন দিন বাড়ছে। এবার ছোট্ট পড়ুয়াদের হাতে স্মার্টফোন তুলে দেওয়ার বিরোধিতায় সরব হয়েছে জাতিসঙ্ঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো। বিশ্বজুড়ে স্কুলে স্মার্টফোন নিষিদ্ধ করার পক্ষে সুপারিশ করেছে সংস্থাটি।
লন্ডনের ‘দ্য টেলিগ্রাফ’ পত্রিকা জানিয়েছে, ইউনেস্কোর সাম্প্রতিক এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, কোমলমতি শিশুদের হাতে স্মার্টফোন পড়াশোনার ক্ষেত্রে সুবিধা নিয়ে আসার পরিবর্তে অসুবিধা ও বাধা তৈরি করছে। অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহারের ফলে শিক্ষাগত কর্মক্ষমতা হারাচ্ছে ছোট ছোট পড়ুয়ারা। অতিরিক্ত সময় ধরে মোবাইল ফোনে চোখ রাখার ফলে শিশুদের মানসিক স্থিতিশীলতা ধাক্কা খাচ্ছে। মানসিকতার উপরে খারাপ প্রভাব ফেলছে। শিক্ষকদের সঙ্গে ছাত্রদের ক্লাসরুমে পঠনপাঠনের সময়ে যে রসায়ন গড়ে উঠে তা অনলাইনে কখনই সম্ভব নয়।
এ বিষয়ে ইউনেস্কোর মহাপরিচালক অড্রে আজোলের বক্তব্য, ‘সব পরিবর্তন অগ্রগতি নাও আনতে পারে, এমন বিষয় সব সময়ে মাথায় রাখা উচিত। তথ্য-প্রযুক্তির যুগে ডিজিটাল মাধ্যম থেকে দূরে সরে থাকার কথা বলছি না। কিন্তু অতিরিক্ত ব্যবহার নিয়েও বিশেষ সতর্ক থাকতে হবে।’