নিজস্ব প্রতিনিধি: বঙ্গোপসাগরে ফের ঘনীভূত হচ্ছে ঘূর্ণিঝড়। দক্ষিণ থাইল্যান্ড সাগরে নিম্নচাপটি তৈরি হয়ে আপাতত আন্দামান সাগরে গভীর নিম্নচাপ রূপে অবস্থান করছে। যা শুক্রবার অর্থাৎ ৩ ডিসেম্বরের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। ও অন্ধ্র-ওড়িশা উপকূলের মধ্যে আছড়ে পড়ার কথা। দিল্লির মৌসম ভবন জানাচ্ছে, ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’-এর সম্ভাব্য আছড়ে পড়ার স্থান ওড়িশার উপকূল থেকে অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলীয় এলাকা। অন্ধ্রের শ্রীকারিকুলাম থেকে ওড়িশার গঞ্জাম এলাকাকেই সম্ভাব্য আছড়ে পড়ার স্থান হিসেবেই রেখেছে দিল্লির মৌসম ভবন। সম্ভাব্য গতিপথ পুরী হয়ে গঞ্জাম, জগতসিংহপুর, গজপতি হয়ে চাঁদিপুর থেকে ছত্তিশগড় কিংবা ঝাড়খণ্ডের দিকে যেতে পারে। আবার বাঁক খেয়ে পশ্চিমবঙ্গের দিকেও আসতে পারে। তাই সর্বক্ষণ নজরদারি চালানো হচ্ছে ‘জাওয়াদ’-এর গতিবিধির উপর।
দিল্লির মৌসম ভবন জানিয়েছে, বিগত ১৩২ বছর বাদে ডিসেম্বরে অন্ধ্র কিংবা ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়বে কোনও ঘূর্ণিঝড়। মূলত উত্তর ভারত মহাসাগরের কোলে থাকা ১৩ টি দেশ আরব ও বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করে। তালিকায় রয়েছে ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আরব আমিরশাহী, ইরান, মালদ্বীপ, মায়ানমার, ওমান, ইয়েমিন, শ্রীলঙ্কা, সৌদি আরব ও থাইল্যান্ড। বঙ্গোপসাগরের বুকে থাকা ‘জাওয়াদ’ ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করেছে সৌদি আরব। আরবি ভাষায় যার অর্থ করুণাময় বা উদার। আর সেই ঘূর্ণিঝড় ধেয়ে আসছে অন্ধ্র-ওড়িশা সীমান্ত দিয়ে। তাই বাড়তি সতর্কতা রয়েছে উপকূল এলাকায়। ওড়িশার উপকূল এলাকায় প্রবল থেকে প্রবলতর বৃষ্টিপাত হতে পারে আগামী শুক্রবার অর্থাৎ ৩ ডিসেম্বর থেকে। জারি রয়েছে লাল সতর্কতা। মৎস্যজীবীদের শুক্রবার থেকেই সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।